আজকের যায়যায়দিন

অস্থিরতা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তারা। তবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে অস্থিরতা নতুন কিছু নয়।

গত আড়াই বছরে পিসিবির চেয়ারম্যান পদে বদল হয়েছে চারবার। বোর্ডের এমন ঘনঘন পরিবর্তন নিঃসন্দেহে দেশটির ক্রিকেট কাঠামোতে প্রভাব ফেলছে। পাকিস্তানের সাবেক হেড কোচ মিকি আর্থারের মতে, 'তারা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে।'

২০১৬ সালে প্রথমবার কোচ হয়ে আসার পরের বছরই পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতান আর্থার। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বিদায় করে দেওয়া হয় তাকে। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপ তাকে আবারও সেই পদে ফিরিয়ে আনতে উঠেপড়ে লাগেন তৎকালীন পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। হেড কোচ হিসেবে না হলেও আর্থারকে ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসতে আসতে তিনিই কেটে পড়েন পিসিবি থেকে।

উইজডেন ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক তথ্য দেন মিকি আর্থার। তিনি বলেন, 'আমি প্রতিনিয়ত দেখছি পাকিস্তান ক্রিকেট নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে। প্রতিভা সেখানে আছে, সেজন্য ভালো কাঠামো, নেতৃত্ব একই সঙ্গে ধারাবাহিকতা ও সঠিক নির্দেশনা দরকার।'

সাকিব-মাহমুদউলস্নাহকে ভালো স্মৃতি উপহার দিতে চান শান্ত

তিনি আরো বলেন, 'নাজামকে ধন্যবাদ, কারণ ২০১৬-২০১৯ সালের ভেতর আমরা এমন কিছু খেলোয়াড় পেয়েছিলাম যাদের প্রসেসের ওপর আস্থা ছিল। ইনজামাম উল হকের (সাবেক নির্বাচক) সঙ্গে আমার কাজের সম্পর্কটা দুর্দান্ত। তার সঙ্গে বসে যখন দল নির্বাচন করি এবং পরে যখন খেলোয়াড়দের সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করি, তারা জানত এই কাঠামো বিদ্যমান থাকবে। কারণ আমি ও ইনজির ধারাবাহিকতার একটি নিদর্শন তৈরি করেছিলাম।'

আর্থার জানান, 'এটি যদি ক্রমাগত পরিবর্তন হয় এবং অস্থিরতা থাকে তাহলে খেলোয়াড় আত্মরক্ষার উপায় খুঁজতে শুরু করে এবং দিনশেষে তারা নিজের জন্য খেলে, কেবল পরবর্তী সফরের কথা ভাবতে থাকে। এমনটা দেখা হতাশার কারণ খেলোয়াড়দের সঠিক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, এখানে খোলামেলাভাবে আলোচনার কারণে। তারা জানে এই বিষয়ে সবসময় পরিবর্তন হবে।'