শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

আইপিএলের পর বিপিএলে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক!

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চলতি বিপিএলে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিদেশি কোটায় মাঠ মাতাচ্ছেন আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি ও সুনিল নারাইনরা - ওয়েবসাইট

আয়োজকরা একটা সময় দাবি করত, আইপিএলের পরই বিপিএল। আয়োজন আপ টু মার্ক না হলেও খেলার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এবং বিতর্কে ঘেরা থাকলেও আয়োজকদের দাবির কারণ ছিল ভিন্ন। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মলিস্নক কথায় কথায় বলেছিলেন, 'বিদেশি খেলোয়াড়রা বিপিএল খেলতে মুখিয়ে থাকে।'

তার ওই কথার ভিত্তি থাকার বড় কারণ ছিল, পারিশ্রমিক। শুরুর দুই আসর বাদ দিলে বিপিএলের বাকি আট আসরে বিদেশি তারকার ক্রিকেটাররা উচ্চ মূল্যে বিপিএল খেলতে চলে আসতেন। পুরো মৌসুম না হলেও কয়েকটি ম্যাচের জন্য হলেও তাদের পাওয়া যেত ভালোভাবেই। সে কারণে বিপিএলে বাড়তি নজর ছিল। আইপিএলের পর বিপিএলেই বিদেশি ক্রিকেটারদের সবচেয়ে ভালো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় বলে মনে করেন কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তারকা ক্রিকেটারদের এখানে খেলার আগ্রহও যথেষ্ট দেখতে পান তিনি। স্রেফ একটু গুছিয়ে আয়োজন করতে পারলেই এই টুর্নামেন্ট অনেক ভালো হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস বিপিএলের সফলতম এই কোচের।

বিপিএলে বরাবর সবচেয়ে তারকা সমৃদ্ধ দল গড়ে থাকে কুমিলস্নাই। টি২০ জগতের মহাতারকা আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারাইনের পাশাপাশি মইন আলি, জনসন চার্লস, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা নিয়মিত খেলছেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। বিপিএলের সফলতম দলটিতে এবারের আসরে খেলেছেন উইল জ্যাকস, রেমন রিফার, আমের জামালরাও।

ড্রাফট থেকে নেওয়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক খুব বেশি হয় না বিপিএলে। তবে সরাসরি চুক্তিতে নেওয়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক থাকে আকাশচুম্বী। তাদের সঙ্গে সাধারণত ম্যাচের সংখ্যা হিসেবে চুক্তি হয়ে থাকে। এবার বড় তারকাদের সঙ্গে ম্যাচপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ডলারে চুক্তি করেছে কুমিলস্না। গত আসরেও অঙ্কটা ছিল এরকমই। বড় কয়েকজন তারকা খেলে গেছেন ও খেলছেন রংপুর রাইডার্সেও। তারাও বেশ মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিয়েই এনেছে সরাসরি চুক্তি করা ক্রিকেটারদের।

পারিশ্রমিকের দিক থেকে তাই ক্রিকেট বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মধ্যে বিপিএলকে ওপরের দিকেই রাখেন সালাউদ্দিন। কিন্তু বাংলাদেশের আসরকে তিনি পিছিয়ে রাখছেন আয়োজনগত দিক থেকে। বিশেষ করে, বিপিএলের জন্য আলাদা একটি সময় বের করার কথা বললেন তিনি। এবারই যেমন বিপিএলের সঙ্গে প্রায় একই সময়ে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি২০ ও দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি২০। এছাড়াও বিগ ব্যাশের শেষটুকু ও পিএসএলের শুরুর ভাগও পড়ে গেছে এই সময়টাতেই।

চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচ শেষে সালাউদ্দিন জানান, অন্য সময়ে আয়োজন করা গেলে বিপিএলে বড় তারকাদের আলো আরও বেশি পড়বে। আর এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা তো সবাই বোঝে (আরেকটু গুছিয়ে করা যায়) যাদের বোঝার, তারা বোঝে না। আমার মনে হয়, তারাও যদি একটু বোঝে, তাহলে এটাও অনেক ভালো একটা টুর্নামেন্ট হতে পারে। একটা ভালো উইন্ডো পেলে বাংলাদেশে সবাই খেলতে আসবে। আমি যতটকু বুঝি, আইপিএলের পরই আমরা মনে হয় সবচেয়ে ভালো পারিশ্রমিক দেই ক্রিকেটারদের। এখানে সবারই খেলার ইচ্ছা আছে।'

আয়োজনগত দিক থকে আরেকটা জায়গাতেও আঙুল তুললেন সালাউদ্দিন। ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল এই কোচের মতে, টুর্নামেন্টকে টেনে বেশি লম্বা করায় এটির গতি ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, 'এত লম্বা সময় ধরে টুর্নামেন্ট হলে খুব সমস্যা। একটি টুর্নামেন্ট ৪৫ দিন ধরে হচ্ছে। ইচ্ছে করলেই এটাকে ছোট করা যায়। ধরুন একটা দল মোমেন্টাম পেয়েছে, সে পরের ম্যাচটি খেলছে ৯ দিন পরে, কেউ খেলছে ৬ দিন পরেৃ এতে আসলে একটা দলের নতুন করে শুরু করতে হয়। ইচ্ছা করলেই এটা সম্ভব (ছোট করা), একটু চিন্তাভাবনা করলে। এটা বুঝলে তো বোঝাই যায়, না বুঝলে কেউ বোঝাতে পারবে না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে