সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সবাই নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করছে : রবিউল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচকে সামনে রেখে সৌদিতে অনুশীলনের একটি মুহূর্ত -বাফুফে

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচকে সামনে রেখে সৌদিতে আবাসিক ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। মূল ম্যাচের আগে সুদানের বিপক্ষে দু'টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ খেলার পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় জামালরা। মঙ্গলবার কিং ফাহাদ স্পোর্টস সিটিতে অনুশীলন শেষে রবিউলরা জানালেন দারুণ হচ্ছে তাদের অনুশীলন। মূল দলে জায়গা করে নিতে নিজেদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করছে দলের প্রত্যেক ফুটবলারই।

মিডফিল্ডার রবিউল হাসান বলেন, 'কুয়েতে আমাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে কোচের একটা আলাদা পরিকল্পনা আছে। মূলত সেই কারণেই সৌদিতে আসা। কোচের যে পরবর্তী পরিকল্পনা সেটা সফল করার জন্য আমরা দলের ছোট-বড় সব ফুটবলার সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করছি। আমরা যেন সেখানে ভালো একটা ফলাফল করতে পারি এবং আমাদের জন্য এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইটা অনেক সহজ হয়ে যায়।'

রবিউল মনে করছেন এখন জাতীয় দলে প্রতিযোগিতাটা আগের থেকেও অনেক বেশি। এখানে নিজের সেরাটা না দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই দলের সবাই সেটা মাথায় রেখেই ক্যাম্পে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন, 'এখন আমাদের কোচ বাংলাদেশের যেই প্রান্তেই ম্যাচ হোক না কেন খেলাটা দেখেন। সেটা লিগ হোক বা টুর্নামেন্ট। তাতে করে যেটা হয়েছে কোচ বাছাই করে যে দলটা গড়েছেন সেটা একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল। সবাই নিজের জায়গা থেকে সেরাটাই দিচ্ছে। সবাই খেলার জন্য মুখিয়ে আছে। এখানে সুযোগ পেয়ে সেটা কাজে লাগাতে না পারলে পরবর্তীতে দলে টিকা অনেক কঠিন হয়ে যাবে এটা সবারই জানা আছে। কারণ দলের প্রতিটি অংশই ভালো। মিডফিল্ড, ডিফেন্স, অ্যাটাকিং বা গোলকিপিং যেটাই বলেন না কেন। সবাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে, কোচ যেমনটা চাইছেন ঠিক তেমনটাই দেওয়ার চেষ্টা করছে। আশা করছি, ভালো কিছুই হবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে।'

দলে সুযোগ পাওয়া তরুণ মিডফিল্ডার চন্দন রায় জানালেন কীভাবে এলিট অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসলেন জাতীয় দলে। নিজের সেরাটা দিয়ে মূল দলে জায়গা করে নেওয়ার প্রত্যাশা তার, আমি জাতীয় দলে আগেও একবার ডাক পেয়েছিলাম। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়েছি। আবার ডাক পেয়েছি। ক্লাবে ডিসিপিস্নন থাকে। তবে জাতীয় দলে সেটা আরও বেশি। ঠিক সময়ে সবকিছু করতে হয়। ক্লাবের সঙ্গে জাতীয় দলের গেম থিওরি, পস্ন্যান কিছুটা মিল আছে। তাই ক্লাবের অনুশীলন এখানে কিছুটা সহায়তা করছে আমাকে। সরাসরি ঢাকা এলিট অ্যাকাডেমিতে ট্রায়াল দিয়ে টিকি। এরপর দুই বছর বিসিএলে থাকি। সেখানে খেলার পর শেখ রাসেলে ডাক পাই। শেখ রাসেলে নিয়মিত ভালো পারফরম্যান্স করার কারণে আমি জাতীয় দলে ডাক পাই।'

ক্যাবরেরার দলে যেমন জামাল-রবিউলদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার আছে। তেমনি চন্দনের মতো তরুণরাও আছেন। সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে সম্পর্কটা কেমন? এমন প্রশ্নের উত্তরে চন্দন বলেন, 'সিনিয়র ভাইদের সঙ্গে খেলে আনন্দ পাচ্ছি। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি। কীভাবে খেললে আরও ভালো করতে পারব এসব বিষয়ে তারা আমাকে অনেক সহায়তা করেন।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে