সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
তুষার-সাদমানের ফিফটিতে রূপগঞ্জের জয়

মুশফিক জেতালেন মোহামেডানকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
মুশফিক হাসান

জয় দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু করল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২০২ রানে আটকে যায়। জবাবে ৩৬ ওভারে জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। সহজ জয়ের দিনে পেসার আল আমিন হোসেন ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।

কোনো অঘটন ঘটেনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও সিটি ক্লাবের ম্যাচে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডে এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে। আগে ব্যাটিং করে মোহামেডান মাত্র ২৪০ রান জমা করে। লক্ষ্য তাড়ায় পথ ভুলে সিটি ক্লাব আটকে যায় ১৯৭ রানে।

বিকেএসপিতে এই রান কিছুই না। সিটি ক্লাব জবাব দিচ্ছিল ভালো। তাতে এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল ম্যাচটায় রোমাঞ্চ ছড়াবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। তাদের জয়ের পথ আটকে দেন পেসার মুশফিক হাসান। ডানহাতি পেসার ৪ উইকেট নিয়ে মোহামেডানের জয়ের নায়ক।

এর আগে মোহামেডানের ব্যাটিং ইনিংসে হাল ধরেছিলেন রনি তালুকদার ও মুকিদুর ইসলাম অঙ্কন। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস মাত্র ৮ রানে ফেরার পর এই দুজন ১৩৭ রানের জুটি গড়েন। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে গেলেও আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়। রনি ১০৮ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৭১ রান করেন। অঙ্কন ৬৭ রান করেন ৮৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায়। সেখান থেকে রুবেল মিয়ার ৩৩, আরিফুলের ১৯ ও হকের ১৬ রানে লড়াকু পুঁজি পায় মোহামেডান।

বল হাতে সিটি ক্লাবের হয়ে মেহেদী হাসান ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান সঞ্জিত সাহা ও রাফসান আল মাহমুদ। লক্ষ্য তাড়ায় রাফসানের ৫৬, শাহরিয়ার কমলের ৩৮ ও মইনুল ইসলামের ৩৬ রানে সিটি ক্লাব ভালো জবাব দিচ্ছিল। কিন্তু তাদের ফিরে যাওয়ার পর আর কেউ হাল ধরতে পারেনি। মুশফিক একাধিক স্পেলে বোলিংয়ে এসে পেয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া আরিফুল ইসলাম ৩ ও নাঈম হাসান ২ উইকেট নেন। প্রত্যাশিত জয়ে ২ পয়েন্ট নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ায় হাসি ফুটে মোহামেডান শিবিরে।

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এদিন ব্যাট হাতে ফিফটি পেয়েছেন রূপগঞ্জের দুই ওপেনার তৌফিক খান তুষার ও সাদমান ইসলাম। ২২ গজে দাপট দেখিয়ে রূপগঞ্জ পূর্ণ ২ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। ব্রাদার্সের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে দলের হয়ে হাল ধরতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন মাহমুদুল হাসান। এছাড়া ৩৭ রান করেন মনির হোসেন। বিশের ঘর পেরিয়েছেন মারাজ মাহবুব নিলয় (২১) ও আবু জায়েদ রাহী (২৯)।

আল-আমিন ৪৩ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার শহিদুল ইসলাম ৩৫ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান নেন ২ উইকেট। লক্ষ্য তাড়ায় রূপগঞ্জ ওপেনিং জুটিতে ৯৪ রান পায়। দুই ওপেনার তুষার ও সাদমান তুলে নেন ফিফটি। দুজন থেমেছেন ষাটের ঘরেই। তুষার ৪২ বলে ৬৬ রান করেন ৯ চার ও ৪ ছক্কায়। সাদমান ৮৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংসটি সাজান ৭ বাউন্ডারিতে।

এরপর রূপগঞ্জ দ্রম্নত রিজওয়ান (৮) ও অধিনায়ক মুমিনুলের (১৬) উইকেট হারায়। কিন্তু লক্ষ্য নাগালে থাকায় তাদের জয় পেতে সমস্যা হয়নি। আমিনুল ইসলাম বিপস্নব ২১ ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১১ রান করে দল জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে