রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতল পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক
  ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতল পাকিস্তান
২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতল পাকিস্তান

সবমিলে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটে বাজে সময় কাটাচ্ছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া সফর যেন স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। ২২ বছর পর প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয় তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। রোববার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে অজিদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা। তাতে টানা দুই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করেছে ২-১ ব্যবধানে।

পার্থে অস্ট্রেলিয়ার পেস কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আগুন ঝরিয়েছেন পাকিস্তানের পেসাররা। সেই আগুনে পুড়েছে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। অবশ্য পুরো সিরিজেই দাপট ছিল শাহিন-রউফ-নাসিমদের। যাদের তোপে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাত্র ১৪০ রানেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে যায়, যা ৮ উইকেট এবং ২৩.১ ওভার হাতে রেখেই পেরিয়েছে নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় ২২ বছর পর তারা ওয়ানডে সিরিজ জিতল। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুই দলের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সর্বশেষ ২০০২ সালে জিতেছিল পাকিস্তান।

পার্থে টানা দুই ম্যাচে লো স্কোরে গুটিয়ে গেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তৃতীয় ওয়ানডেতে তাদের ১৪০ রানে গুটিয়ে দিয়ে অনায়াসেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারী দল। ২০০২ সালে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জেতা পাকিস্তান লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ২৭তম ওভারে। সহজ জয়ের এই মঞ্চটা গড়ে দেন পাকিস্তানের পেসাররাই। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ আর হাসনাইনদের বোলিং তোপে কোনওভাবেই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে শন অ্যাবটের ব্যাট থেকে। ওপেনার ম্যাথু শর্ট খেলেছেন ২২ রানের ইনিংস। বাকিরা আসা-যাওয়া করেছেন। শুধু কুপার কনলি মাঠ ছাড়েন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে।

শাহীন ৩২ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ৫৪ রানে নাসিম শাহ নেন ৩টি। ২৪ রানে হারিস রউফ নিয়েছেন দুটি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ম্যাথু শর্ট আর গেস্নন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও তিনি। ২৪ রানে হাসনাইন নিয়েছেন একটি। অজিদের হয়ে ২৪ রানে দুটি উইকেট নেন ল্যান্স মরিস।

মামুলি লক্ষ্যে পাকিস্তানের ব্যাটারদের কোনো সংগ্রামই করতে হয়নি। ওপেনিং জুটিতেই যোগ হয়েছে ৮৪। আব্দুলস্নাহ শফিক ৩৭ রানে ফিরলে ভাঙে শুরুর জুটি। দ্রম্নত সময়ে সাইম আইয়ুব ৪২ রানে ফিরলে বাকিটা পথ সহজে পাড়ি দেন বাবর আজম ও অধিনায়ক রিজওয়ান। বাবর ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। রিজওয়ান অপরাজিত

ছিলেন ৩০ রানে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে