সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
বিপিএল

ছোট বাউন্ডারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আপডেট  : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩৪
ছোট বাউন্ডারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তামিম
ছোট বাউন্ডারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তামিম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার হাইস্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে। ব্যাটিং বান্ধব উইকেট হলেও বাউন্ডারির দৈর্ঘ্যও অনেক ছোট। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, যেহেতু ব্যাটিং বান্ধব উইকেট; সেক্ষেত্রে ব্যাট-বলে ভারসাম্য রাখতে বাউন্ডারি বড় হওয়া উচিত। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সোমবার ৭ উইকেটের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তামিম। ৪৮ বলে ৮৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন। তাতে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সীমানা এমনিতেই খুব বড় নয়। এবার বিপিএলের জন্য তা কমিয়ে দেওয়া হয় আরও। সীমানা ছোট করা হয়েছিল ঢাকা পর্বে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও। তবে সিলেটে এতটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মাঠে ঢুকে সবার আগে নজরে পড়ে এটিই। বিশেষ করে, প্রেস বক্স প্রান্তের সোজাসুজি বাউন্ডারি তো ৩০ গজের বৃত্তের পর আর ৩০ গজও রাখা হয়নি। এই ছোট মাঠেও বাউন্ডারি সীমানা বাইরে বাড়তি জায়গা পড়ে আছে অঢেল। বিপিএলে চার-ছক্কা-রান বাড়ানোর জন্য সীমানা ছোট করে দেওয়ার কৌশল ভালো লাগেনি অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার তামিম ইকবালের।

মিরপুরে মাঠের তিন দিকে দেখা গেল সীমানা ৬০ মিটারের চেয়েও কম, আরেক দিকে স্রেফ ৬০ মিটার। ৬০ মিটারের চেয়ে বেশি আছে তিনদিকে, এরমধ্যে মাত্র একদিকে সেটা ৭০ মিটারের সামান্য বেশি। এত ছোট বাউন্ডারি খালি চোখে লাগে দৃষ্টিকটু। সিলেটে সেই বাউন্ডারির আকার আরও কম, এমনকি ৫২ মিটারে যাওয়া বল পড়ছে সীমানা ছাড়িয়ে! এতে ব্যাটাররা বাড়তি সুবিধা পেলেও ব্যাটারদেরই অভিজ্ঞ একজন তামিম ইকবাল সেটা ভালো চোখে দেখছেন না। তিনি চান চার-ছক্কার সীমানা যেন বাড়ানো হয়।

এবার বিপিএলে স্পোর্টিং উইকেটের প্রশংসা হচ্ছে। তবে উইকেটের কারণেই যে শুধু বড় রান হচ্ছে তা না, সীমানা কমিয়ে দেওয়াতেও বাউন্ডারির সংখ্যা বেড়েছে অনেক। অনেক মিসটাইমিংও ছক্কা হচ্ছে। যেসব বল ক্যাচ হওয়ার কথা সেসব পড়ছে বাউন্ডারির বাইরে। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ধাপে এই দৃশ্য দেখার পর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যেন সীমানা আরও ছোট। প্রথম দিনেই তাই হয়েছে বড় রানের ম্যাচ। তামিম নিজেও খেলেছেন ৪৮ বলে ৮৬ রানের ইনিংস। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

এরপর পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে তামি সমালোচনা করেছেন বাউন্ডারি লাইন নিয়ে,' যেভাবে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে, তা খুব ভালো। আমি যা দেখতে চাই, তা হলো আরও বড় সীমানা। জায়গা যখন আছে, তাহলে ৫৮-৬০ গজের বাউন্ডারিতে আমরা কেন খেলছি, জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৫-৭০ গজের বাউন্ডারি দেখা যায়। তখন বোলারদের জন্য কিছুটা সুযোগ থাকে।'

মিরপুরে দেখা গেছে ডানহাতি ব্যাটারদের জন্য স্কয়ার লেগের দিকে বাউন্ডারি মাত্র ৫৮ মিটার, ফাইন লেগে সেটা আরও কমে ৫৬ মিটার, একইভাবে থার্ড ম্যানের দিকেও ৫৬ মিটার। কাভারে ৬০ মিটার বাউন্ডারি রাখা হয়েছে। লং অন, লং অফে ৬৮ আর সোজা বাউন্ডারি রাখা আছে ৭১ মিটার। সিলেটে সোমবার একটি ছক্কা গিয়ে সীমানা ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে পড়লে দূরত্ব দেখা যায় মাত্র ৫২ মিটার! বিস্ময়কররকম ছোট বাউন্ডারি।

তামিম মনে করেন উইকেট ভালো হলে বাউন্ডারি ছোট করে রান উৎসব দেখানোর মানে নেই,' উইকেট এবার এত ভালো! কিউরেটরদের অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। দুর্দান্ত উইকেট তৈরি করেছেন তারা। তবে উইকেট যখন এত ভালো থাকে, তখন সীমানা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি জায়গা থাকে। তাহলে বোলারদের জন্যও সুযোগ থাকে। এই মুহূর্তে বোলারদের জন্য কিছু নেই। শীর্ষ কর্তারা যারা সিদ্ধান্ত যা গ্রহণ করেন, আমার আশা ও প্রার্থনা, তারা আমার কথা শুনছেন এবং এই বাউন্ডারি আরেকটু পিছিয়ে দেবেন। কারণ জায়গা তো আছেই।'

মাঠে বাড়তি জায়গা আছে অনেক। তবে শীর্ষ কর্তাদের ভাবনায় জায়গায় কতটা পরিবর্তন আনা গেল, সেটিই বোঝা যাবে সময়ে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে