ফিফা এএফসির অর্থায়নে মূলত বাফুফের কর্মকান্ড চলে থাকে। আয়ের সিংহভাগই আসে ফিফার ফান্ড থেকে। সেই ফান্ডের অর্থ ব্যয়ে নির্দেশনা না মানায় ফিফা ২০১৮ সাল থেকে বাফুফেকে অর্থ ছাড়করণ করতো বেশি কিস্তিতে। দীর্ঘদিন বাফুফেকে পর্যবেক্ষণের পর ফিফা সেই অর্থ ছাড়করণের শিথিলতা প্রত্যাহার করেছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ফিফার কাছ থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছে বাফুফে।
চিঠি আসার পরপরই কার্যনির্বাহী কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপে ফিফা থেকে পাওয়া সুখবর দেয় ফেডারেশনের সচিবালয়। এখন নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে বাফুফে ফিফার অনুদান স্বাভাবিক কিস্তিতে পাবে। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক আরও অনেক কর্মসূচিতে আবেদনের সুযোগ বাড়বে।
ফেব্রম্নয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফা ফান্ডের অডিটের জন্য ফিফার প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছিল। বাফুফের ধারণা ছিল মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ফিফা থেকে একটি সংবাদ পাবে। প্রত্যাশিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই বাফুফে সেই খবর পেলো। ঢাকায় আসা প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ওপরই মূলত ফান্ড ছাড়করণের শিথিলতা সরেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ওপর থেকে।
আগে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও ফিফা থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। একাধিক কর্মকর্তাও শাস্তির মুখে পড়েছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফিফার তদন্তে। তারই জেরে এবং আরও নানা কারণে ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাফুফের সেসময়কার সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈমকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। গত বছর মে মাসে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তিন বছর করে সংস্থাটি।
আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতির কারণে সেসময় বাফুফের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন ও ম্যানেজার (অপরারেশন্স) মিজানুর রহমানকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। আর তখনকার বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদিকে করা হয় জরিমানা।