দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিতে ভূমিকা রাখছে দেশীয় চা শিল্প। বিশ্ববাজারে ক্রমান্বয়ে চা খাতে রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও দেশীয় চা জায়গা করে নিচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও সৌদি আরবের পর রপ্তানির তালিকায় যোগ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার, ওমান ও বাহরাইন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য বলছে, গত ১১ মাসে বিশ্ববাজারে এই খাতের রপ্তানি আয় ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববাজারে চা রপ্তানি হয়েছে ২২ লাখ ৫ হাজার ১২৯ কেজি। যেখান থেকে আয় এসেছে ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৫ ডলার। গত বছরের তুলনায় অক্টোবর পর্যন্ত চা খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৯ লাখ ৯৭ হাজার ২১২ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও দেশীয় চা বাজার তৈরি করছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে চা রপ্তানি হয়েছে ৮ লাখ ৭৭ হাজার কেজি। এই ১১ মাসে আয় এসেছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ডলার।
নভেম্বর পর্যন্ত কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। দেশটিতে চা রপ্তানির তালিকায় এগিয়ে আছে আবুল খায়ের লিমিটেড, আরিফ টি কম্পানি, ইস্পাহানি গ্রম্নপ ও সিটি গ্রম্নপ। এ ছাড়া কুয়েত থেকে চা খাতে রপ্তানিতে আয় এসেছে ৭৬ হাজার ডলার, ওমান থেকে এক লাখ ১৩ হাজার ডলার, কাতার থেকে ৩৬ হাজার ডলার ও বাহরাইন থেকে ১২ হাজার ডলার। যদিও গত বছর সৌদি আরবে রপ্তানি হলেও চলতি বছর এই তালিকায় নাম নেই দেশটির। প্রবাসীরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় চায়ের কদর বাড়ছে দিন দিন।
শহরের অলিগলিতে গড়ে উঠছে চায়ের দোকান। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলোতে 'কারাক' চা বেশ জনপ্রিয়। মসলাযুক্ত এই চায়ের উৎপত্তি ভারতীয় উপমহাদেশে হলেও প্রায় সব চায়ের দোকানে পাওয়া যায় এটি। মধ্যপ্রাচ্যে চা-প্রেমীদের পছন্দের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছে এই চা। তাছাড়া আরব দেশগুলোতে আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ ধরনের চা পাওয়া যায়। এসব চায়ের দোকান ঘিরে ব্যাণিজিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন প্রবাসীরা।