সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে

সিগারেটের দাম আরও বাড়ানোর দাবি

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সিগারেটের দাম আরও বাড়ানোর দাবি

২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ সময়কালে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম ৬ থেকে ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে উন্নয়ন সমন্বয় নামের একটি সংগঠন। ওই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার ৩২ শতাংশ ছিল। ফলে মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় সিগারেট আরও সহজলভ্য হয়েছে। তাই আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে সব স্তরের সিগারেটের ন্যূনতম ঘোষিত খুচরা মূল্য অন্তত ১০ শতাংশ করে বাড়াতে হবে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আবদুলস্নাহ নাদভী।

1

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরজুড়ে যেহেতু গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে তাই আসন্ন অর্থবছরের বাজটে সব স্তরের সিগারেটের ন্যূনতম ঘোষিত খুচরা মূল্য অন্তত ১০ শতাংশ করে বাড়াতে হবে। ১৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের মধ্যে সিগারেট ব্যবহারের হার ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় সিগারেটের দাম বাড়াতে হবে।

এছাড়াও কর আহরণ সহজীকরণের জন্য বাজারে বিক্রি হওয়া সিগারেটের স্তর সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করার পাশাপাশি সিগারেট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ২০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সিগারেটে কর প্রস্তাব তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, সিগারেটে কার্যকর করারোপ হলে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে, সিগারেট শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্মসংস্থান হারাবে ইত্যাদি নানাবিধ অপপ্রচার চালানো হয় স্বার্থান্বেষী মহলের পক্ষ থেকে। আগেই বলা হয়েছে, সিগারেট বিক্রি থেকে সরকার যে রাজস্ব পেয়ে থাকে তার তুলনায় সিগারেট ব্যবহারজনিত অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উলেস্নখযোগ্য মাত্রায় বেশি। তাছাড়া কার্যকর করারোপ করলে মধ্যম মেয়াদে সিগারেট বিক্রি থেকে পাওয়া কর কমবে না বরং বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২-এর তথ্যমতে দেশে তামাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকের সংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৩২ হাজার যা মোট কর্মে নিয়োজিত নাগরিকের সংখ্যার মাত্র ০.২ শতাংশ। আর প্রতি বছর কেবল আনুষ্ঠানিক খাতেই বাংলাদেশে দুই লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই সিগারেটে কার্যকর করারোপের ফলে কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কাটি পুরোপুরি অমূলক। আসন্ন অর্থবছরে সিগারেটে কার্যকর করারোপের আলোচনা ও নীতি-ভাবনার সময় এসব অপপ্রচার বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্কতা একান্তভাবে কাম্য।

তিনি বলেন, সিগারেটের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি এগুলোর ওপর কার্যকর করারোপও জরুরি। কার্যকরভাবে করারোপ না করা হলে সিগারেটের দামবৃদ্ধির ফলে সিগারেট কোম্পানিগুলোর বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হতে পারে। ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত সময়কালে যেহেতু বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু এগুলোর দামের ওপর শতাংশ হিসেবে সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করা আছে- তাই এ সময়ের ব্যবধানে সিগারেট থেকে আসা বার্ষিক করের পরিমাণ ২৫ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩৬ হাজার ৪২২ কোটি টাকা হয়েছে। এ সময়ের ব্যবধানে বছরে মোট সিগারেট বিক্রির পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৩৫ হাজার ১৬৭ কোটি থেকে বেড়ে ৪৭ হাজার ৩০৭ কোটি হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে