সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভাঙ্গুড়ায় বিস্তীর্ণ মাঠের পাকাধান তলিয়ে গেছে

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  ০৮ জুন ২০২৫, ২৩:৩২
ভাঙ্গুড়ায় বিস্তীর্ণ মাঠের পাকাধান তলিয়ে গেছে
ছবি : যায়যায়দিন

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সদর ইউপিসহ ৬টি ইউপি'র বিস্তীর্ণ এলাকার উঠতি পাকা ইরিধান আকস্মিক বর্ষা ও ঢালের পানিতে ডুবে গিয়ে এ অঞ্চলের কৃষকের অনগণিত স্বপ্ন ধুলিসাৎ হতে চলেছে।

সরজমিন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও স্কীম মালিকদের সাথে কথা বলে তাদের অগণিত দিনের স্বপ্নের ফসল পাকাধান কাটার নানাবিধ সমস্যার কথা উঠে এসেছে। উঠতি পাকা ইরিধান পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকা গুলো হচ্ছে, উপজেলার ভাঙ্গুড়া(আংশিক)'র নৌবাড়িয়া,অষ্টমনিষা(আংশিক)'র বাঁশবাড়িয়া, ডেঙ্গারপাড়া, গদাইরুপসী, দিলপাশার ইউপির দিলপাশার, মাগুড়া, চকলক্ষ¥ীকোল ,তাড়াপুর, আদাবাড়িয়া,বাশুড়িয়া, পাটুল ও খাদ্য খাদ্যভান্ডার খ্যাত বৃহত্তর খানমরিচ ইউপি'র শ্রীপুর,জয়রামপুর,রামানাথপুর দুধবাড়িয়া,হেলেঞ্চা,পুকুরপাড়, সাতবাড়িয়া, কয়ড়া মাঠে " দু'শতাধিক হেক্টর জমির পাকা ইরিধান পানিতে ডুবে গেছে।

1

খানমরিচ ইউপি'র শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ও ৩টি স্কীম মালিক আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন জানান,আকস্মিক বর্ষা ও ঢালের পানিতে শ্রীপুর,জয়রামপুর ও কয়ড়া গ্রামের মাঠের পাকা ইরিধানের জমি তলিয়ে গেছে।তিনি "আক্ষেপ" করে জানান, এলাকায় কামলা সংকটের কারণে আমার নিজের লাগানো পাকা ধানের জমি ও আমার স্কীমের আওতাধীন প্রায় ২শ'ধিক একর জমির পাকা ইরিধান পানিতে ডুবে গেছে।

খাদ্য শস্যভান্ডার খ্যাত খানমরিচ ইউপি'র চেয়ারম্যান মোঃ মনোয়ার হোসেন খান মিঠু জানান, আকস্মিক বর্ষা ও ঢালের পানিতে তার ইউপি'র কমপক্ষে ১০/১৫টি গ্রামের মাঠে 'শতাধিক একর' জমির পাকাধান পানিতে তলিয়ে গেছে।বর্তমান এলাকায় তীব্র কামলা সংকটের কারণে কৃষকেরা জমির পাকা ধানকেটে ঘরে তুলতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।খানমরিচ ইউপি'র পক্ষ থেকে ধানকাটতে কৃষকদের মধ্যে 'পলিথিন পেপা(পেপার বায়ুবদ্ধ করে ভাসমান নৌকা সদৃশ্য তৈরি করতে)'র সরবরাহ করা হচ্ছে।বর্তমান অধিকাংশ পাকা ইরিধানের জমি ২/৩ফুট পানির নীচে,২/৩দিন ধরে ডুবে পাকা ধান বিনষ্টের পথে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছাঃ শারমীন জাহানের পক্ষে, এস.ও রনজিত বর্মণ বলেন,উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুমানী ও বড়াল নদীতে আকস্মিক ভাবে বর্ষা ও ঢালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে, রুপসী সুইচগেট, বামুনজান,দিলপাশার দহ ও বংকিরাট রেলব্রীজ ক্যানেল দিয়ে খাদ্যশস্য ভান্ডার খ্যাত খানমরিচ,দিলপাশার ও অষ্টমনিষা ইউপি'র নিম্মএলাকায় পানি প্রবেশ করে প্রায় '২শতাধিক হেক্টর জমির' পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেলেও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তিনি জানান,কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আকস্মিক বর্ষা ও বন্যার বিষয়ে সর্তকিকরণ প্রচার করে অগ্রিম ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হলেও কৃষকেরা কামলা সংকটের কারণে জমির ধান কেটে ঘরে তোলার পূর্বেই জমিতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসক ও নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার জানান,উপজেলার খানমরিচ, দিলপাশারসহ কয়েকটি ইউপি'র নিচু এলাকায় বর্ষা ও ঢালের পানি প্রবেশ করায় পাকা ইরিধানের জমি প্লাবিত হয়েছে।তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা কৃষি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাথে যৌথ প্রচেষ্টায় কৃষকদের অগ্রিম সর্তকীকরণ বার্তা জানিয়ে দেওয়ার কারণে কৃষকের পাকা ধানের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে