বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

প্রক্রিয়াজাত পণ্যের দাম বাড়াতে চায় বাপা

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
প্রক্রিয়াজাত পণ্যের দাম বাড়াতে চায় বাপা

দফায় দফায় বৈঠক করলেও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর সুখবর পাচ্ছেন না উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করছেন। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সরকার যদি শুল্ক-ভ্যাট না কমায় তবে তারা শিগগির প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হবেন। যদিও তারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের ওপর চাপ তৈরি করতে চান না। এ অবস্থায় সরকার শুল্ক-ভ্যাট সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বাড়তি মূসক ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রম্নয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) নেতারা। এর আগে একই দাবিতে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠকে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর আশ্বাস পাওয়ার দাবি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।

তবে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা শোনালেন হতাশার কথা। শুল্ক ও ভ্যাট না কমালে শিগগির প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তারা। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, এনবিআর সদস্য ড. মো. আবদুর রউফ (মূসক নীতি) ও দ্বিতীয় সচিব (মূসক) মো. বদরুজ্জামান মুন্সী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রম্নপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমার মনে হয় রেগুলেটরদের ভালো করে বোঝাতে সক্ষম হচ্ছি না। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। ফুড আইটেমের ওপর অবশ্যই ভ্যাট ও সাপিস্নমেন্টারি ডিউটি বাড়ানো যৌক্তিক নয়। এনবিআর চেয়ারম্যানকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করেছি। আমরা লসের সম্মুখীন হয়েও পুরোনো দামে পণ্যসামগ্রী রেখেছি। যদিও ভ্যাটের বোঝা বেড়েছে। বেশি রেটে ভ্যাট দিতে হচ্ছে।

বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আহসান খান চৌধুরী বলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। উনারা (এনবিআর) আমাদের কাছ থেকে সময় নিচ্ছেন। উনারা বাজেটের কথা বলছেন। আমরা কাজ করে যাবো, হয়তো আমাদের আরও বেশি সহ্যশীল হতে হবে। সহনীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

দাবি না মানলে ব্যবসায়ীরা কী করবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মসূচি দেওয়া বা আন্দোলন করা আমাদের সাজে না। বারবার আমাদের কষ্টের কথা মানুষের সামনে উপস্থাপন করবো। ব্যবসায় যদি মুনাফা থাকে তাহলে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করবো। মুনাফা যদি কম হয়, বাংলাদেশে অন্য ব্যবসা আছে, আমরা সেসব ব্যবসার দিকে ধাবিত হবো।

এসময় বাপার সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, ফিনিশড প্রোডাক্টের ওপর যখন ট্যাক্স বাড়বে অটোমেটিকেলি দাম বাড়বে। দাম বাড়লে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের সেল কমে যায়, আমরা ট্যাক্স কম দিতে বাধ্য হই। শ্রমিক ছাঁটাই করতে বাধ্য হই। পুরো অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব পড়ে। পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে বুঝিয়েছি। আশা করি, আমরা উনার কাছ থেকে ভালো একটা সমাধান পাবো।

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে যদি এর সমাধান না হয়, তাহলে আমরা আমাদের পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হবো। আর কতদিন লস দেবো? বাংলাদেশ বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুইয়া বলেন, আমরা এনবিআরকে বারবার বিরক্ত করার চেষ্টা করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে