শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারি, নারীসহ একই পরিবারের আহত-৮

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  ০১ জুন ২০২৩, ১৮:০৭

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারি। এতে ১ নারীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন একই পরিবারের। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৩ জন বাড়ি ফিরলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন গুরুতর আহত ৫ জন। আহতদের বাড়ি উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামে।

তাঁরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত শহর মামুদ শেখের ছেলে মো. ফয়জার রহমান (৭০), তাঁর স্ত্রী মোছাঃ ছপুরা খাতুন (৬৫) এবং তাঁর ৩ ছেলে মো. আবদুস সামাদ মিয়া (৫৩), মো. সাদেকুল ইসলাম (৪৪) ও মো. শাজাহান বাদশা (৩৫)।

তথ্যে জানা যায়, আহত ফয়জার রহমানে শ্যালক মো. আবদুল হাকিম মিয়া (৫৫)। তাঁদের উভয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয় এক শালিসি বৈঠকে। সে মোতাবেক গত বুধবার দুপুরে জমিতে ধানের বীজ বপন করতে যায় ফয়জার রহমানের লোকজন। শেষে বাড়ি ফেরার পথে তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে অতর্কিত হামলা চালায় আবদুল হাকিম মিয়া ও তাঁর লোকজন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত অসুস্থ মোছাঃ ছপুরা খাতুনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ঘটনার সময় নাতনি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরেন। এ সময় করে তাঁকে মারতে শুরু করে। আমি আগাতে গেলেই লাঠি দিয়ে আমার মাথায় শপশপ করি ডাং মারে আশিক আলীর ছেলে কালাম। মাথায় খুব আঘাত পেয়েছি বাবা। মাথা উঠাতে পারছিনা। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার বলেই কেঁদে ফেলেন তিনি।

এ বিষয়ে মো. আবদুল হাকিম মিয়া বলেন, আহতরা আমার আত্নীয়। পিটিয়ে তাঁদের এভাবে আহত করাটা ঠিক হয়নি। তবে ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। মারামারি শেষে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কারা তাঁদের মেরেছেন তা-ও জানি না আমি।

তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন, মারামারি ও আহত হওয়ার বিষয়টি জানি। উভয় পক্ষের সাথে কথাও হচ্ছে আমার। মামলায় না গিয়ে কিভাবে আপোষ মিমাংসার করা যায় সে চেষ্টা চালাচ্ছি।

থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে