নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভিমরুলের হুল ফুটানোতে আহত সাইম ইয়াসার জারিফ (৮) নামের প্রথম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলা সদরের কলেজ রোড এলাকায় বসবাসকারী মনিরুজ্জামানের পুত্র এবং স্থানীয় আরবান একডেমির ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থ ছিল।
গত রবিবার নিজ বাসায় তার শরীরে ভিমরুলে হুল ফুটানোতে আহত হলে পরদিন সোমবার তার মৃত্যু হয়। মনিরুজ্জামানের বাড়ী ঢাকার ধামরাই এলাকায় হলেও পূর্বধলায় বিয়ের সুবাধে এখানেই নিজস্ব বাসা করে বসবার করতেন।
শিশুটির পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বিকেলে কলেজ রোডের নিজ বাসায় তাদের পোষা বিড়ালটি ঘর থেকে দৌঁড়ে বাড়ির পেছনে চলে যায়। এ সময় সাইম বিড়াল ছানাটিকে ধরতে গিয়ে হঠাৎ ভিমরুলের আক্রমনে পড়ে। বাড়ির পেছনে গাছে থাকা ভিমরুলের চাক থেকে একসঙ্গে অনেকগুলো ভিমরুল শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হুল ফোটায়।
এ সময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে জরুরী বিভাগে চিকিৎসার পর রবিবার রাতেই তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় । পরদিন সোমবার সকালে আবারও হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ডাক্তার দেখানোর পর শিশুটিকে নিয়ে আবার বাড়ি চলে যাওয়া হয়। বাসায় তার শরীর নিস্তেজ হয়ে আসলে দুপুরে শিশুটিকে আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল সোমবার উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামে সাইমের নানার বাড়ীর পারিবারিক কবর স্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
সাইমের মৃত্যুতে তার বিদ্যালয়ের সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।সহপাঠী রোকাইয়া ইসলাম জানায়, সাইম আমাদের সহপাঠী ছিল, আমরা একসাথে পড়তাম। সে মারা যাওয়ায় আমদের খুব কষ্ট লাগছে।
আরবান একাডেমির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: ফিরোজ মিয়া জানান, সাইাম আমাদের স্কুলে ১ম শেণির একজন মেধাবী ছাত্র ছিল । তবে সে প্রায় এক/দেড় মাস হলো বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিল। সাইমের মৃত্যুর খবরে তার সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং আমরা আরবান পরিবার শোকাহত।
যাযাদি/ এসএম