ঢাকার আশুলিয়ায় নিজ ভাড়া বাসায় হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক। এর আগে রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাতানটেক আলম মিয়ার মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষ থেকে দুরুল হুদা নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরে উপস্থিত হয় র্যাব ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, নিহত দুরুল হুদা (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাহের আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রী সহ আশুলিয়ায় বসবাস করে আসছিল ও পেশায় একটি কীটনাশক কারখানার প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন। তার স্ত্রী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
স্থানীয়রা জানান, নিহতের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা সোমবার দুপুর আড়াইটার পর কারখানা থেকে ফিরে বাসায় ঢুকে নিজের স্বামীর মরদেহ দেখতে পায়। পরে তিনি আশেপাশের লোকদের খবর দেন। দুরুল হুদার লাশ ঘরের মেঝেতে পরে ছিল। তার হাত ও পা কাপড়ের টুকরা দিয়ে ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকানো ছিল।
আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ভাড়া বাসায় কি কারণে যুবক হত্যাকান্ডের শিকার তার কয়েকটা বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছি। পিবিআই ক্রাইম সিন আসলে সুরতহাল শুরু করা হবে।
যাযাদি/ এস