ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দেওয়াল নির্মাণ করে রেলওয়ে এলাকার শত বছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকালে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শতাধিক স্থানীয় লোকজন সড়কের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে বন্ধ রাস্তা চালু রাখার দাবী জানিয়ে স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তিনি একটি ‘ইউলোপ’ রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়ার আশ^াস দেন। ওই কর্মকর্তার আশ^াসে আশ^স্ত হতে না পেরে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এনামুল হক খাদেম, শ্রমিক নেতা বিল্লাল চৌধুরী, সাবেক ইউপি মেম্বার মো. রুস্তম মিয়া, মো. হানিফ, সাজল খলিফা, মনির খলিফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সড়কটি দিয়ে রেলওয়ে হাসপাতাল জি.আর.পি থানা, আখাউড়া লোকো সেড, রেলওয়ে পশ্চিম কলোনী, রুপনগর, এবং শ্যামনগর এলাকার সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করে। আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে ওই সড়কের রেলওয়ে হাসপাতাল এলাকায় রেল লাইনের পাশে একটি উঁচু প্রতিরক্ষা দেয়াল করা হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তাটি বন্ধ হওয়া এবং বিকল্প রাস্তা না থাকায় রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ওই এলাকায় বসবাসরত সহস্রাধিক মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
এ অবস্থায় রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে দেয়াল সরিয়ে রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবী জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বরাবরে একটি আবেদনও করেছে এলাকাবাসী।
রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা তো আর জোর করে কাজ করতে পারবো না। এলাকাবাসীকে বলেছি আগের সড়ক নিয়ে লোকজন যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে। যানবাহন চলাচলের জন্য আরেকটি নতুন রাস্তা করে দেওয়া হবে।’
যাযাদি/ এস