মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের বাঁধায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ ঘটনায় পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসিসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এবং দোহার থানার পদ্মা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বিল্লাল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন- যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি না মানা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সড়ক থেকে নড়বেন না। একপর্যায়ে কিছু শিক্ষার্থী নামধারী যুবক পদ্মা সেতু টোল প্লাজার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তি হয়। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করেন। সে সাথে প্রায় ৬ রাউন্ড টিআরসেলও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান, এএসআই আনিচুর রহমান, নারী কনস্টেবল লতা আক্তার, শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন, রিমু আক্তার রাজন, পনিরসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহা সড়ক ছেরে দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তবে তারা আমাদের কথা না শুনে উশৃখল আচরন করে যখন টোল প্লাজার দিকে যেতে চায় আমরা তখন নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বাধা দেই। তখন তারা পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে এবং ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। এতে আমি সহ আমার কয়েক জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এসময় তারা আমাদের বাধা উপক্ষা করলে তখন পুলিশ সদস্যরা লাঠিচার্জ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।
যাযাদি/ এস