পলিটিকোসহ একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যেসব অস্ত্র পাঠানো আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, নির্ভুল আর্টিলারি এবং হেলফায়ার মিসাইল। এ বিলম্ব এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে তীব্র পর্যায় অতিক্রম করছে।
ইউক্রেনকে প্রতিশ্রুত কিছু অস্ত্র পাঠানো স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে বাইডেন শাসনামলের প্রতিশ্রুত আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান। পেন্টাগনের অস্ত্রের মজুদ অনেকটাই কমে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরা।
পলিটিকোসহ একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যেসব অস্ত্র পাঠানো আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, নির্ভুল আর্টিলারি এবং হেলফায়ার মিসাইল। এ বিলম্ব এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে তীব্র পর্যায় অতিক্রম করছে। রাশিয়ার টানা বিমান হামলা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করছে। ট্রাম্পের বহুদিনের প্রচেষ্টায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা থাকলেও, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে আলোচনা কার্যত থমকে গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক সামরিক নীতি বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে এ পদক্ষেপ। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা ও অনুদানের পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যাতে আমাদের স্বার্থকেই সর্বাগ্রে রাখা যায়।
পেন্টাগনের একটি অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, কিছু অস্ত্রের মজুদ ‘অতিমাত্রায় কম’, তাই তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনে পাঠানো যুক্তিযুক্ত নয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৬৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র ও নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে। যুদ্ধের শুরু থেকেই ওয়াশিংটন ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে যেন তারা ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে। তবে বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার হুমকি মাথায় রেখে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ধরে রাখতে চাইছে।
সম্প্রতি ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, কিয়েভ আরো প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র চায়। তিনি বলেন, ‘তারা চায় যে আমরা তাদের এসব অ্যান্টিমিসাইল মিসাইল মানে প্যাট্রিয়ট, সরবরাহ করি। আমরা দেখছি কিছু দেয়া যায় কিনা। আমাদেরও এসব দরকার।’