রোববার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

‘সুলভ মূল্যের মাংস’ ব্যানারে, বাস্তবে নেই

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৫:২৩
আপডেট  : ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৫:৩৬
‘সুলভ মূল্যের মাংস’ ব্যানারে, বাস্তবে নেই
ছবি: যায়যায়দিন

পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল নিয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তায় সুলভ মূল্যে ৭০ টাকা লিটার দুধ, ২৭০ টাকা কেরেট ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যানারে দুধ, ডিম, ও মাংস লেখা থাকলেও দেওয়া হচ্ছেনা মাংস।

প্রথম রমজান থেকে রোববার (২ মার্চ) সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (৩ মার্চ) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ।

কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের চোখে পড়ে। এ সময় সুলভ মূল্যে মাংস কিনতে আসা অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফিরে যান। তাদের অভিযোগ যে জিনিস নেই তার কথা ব্যানারে লেখা হয়েছে কেন? এটাকে তারা স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সমন্বয়েল অভাব হিসেবে দেখছেন। স্বল্প আয়ের মানুষেরা আরো দাবি করেন যে পরিমান দুধ ও ডিম আনা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

এ সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা মাংস বিক্রি করবো। কসাই পাচ্ছিনা। তাছাড়া দামও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা সামনের দিনগুলো থেকে মুরগীর মাংসের ব্যবস্থা করবো। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা দুধ ও ডিম বিক্রি করা হবে। একজন মানুষ ১লিটার দুধ ও এক কেরেট ডিম কিনতে পারবে।

ব্যানারে লেখা থাকা সত্তে¡ও মাংস বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা একই কথা বলেন। এ সময় ইউএনও তাকে গরুর মাংসের ব্যবস্থা না করতে পারলেও যেন ব্রয়লার মুরগী বিক্রি করেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, বাজারে দুধ ও ডিমের দাম একটু বেশি থাকায় অনেকেই কিনতে পারছেন না। তাদের কথা চিন্তা করেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সূলভ মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। মানুষের সাড়া পেলে পুরো রমজান মাস জুড়েই এ কার্যক্রম চলবে। এখান থেকে সরবরাহকৃত জিনিস শতভাগ নিরাপদ। আমাদের আশা, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। তিনি আরো বলেন, আমি দেখলাম ব্যানারে মাংস লেখা আছে কিন্তু মাংস বিক্রি করছে না। তারা কিছু সমস্যার কথা বললো সেটা শুনেছি। পাশাপাশি গরুর মাংসের ব্যবস্থা না করতে পারলেও যেন ব্রয়লার মুরগির ব্যবস্থা করেন সেই নির্দেশনা দিয়েছি।

যাযাদি/ এমএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে