জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় চাঁদাবাজি ও থানায় হামলা পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনায় ১ টি চাঁদাবাজি মামলা ও বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ক্ষেতলাল থানায় মামলা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় এবং পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করায় থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) থানায় হামলা ও পুলিশকে আহত মামলার এজাহার নামীয় আসামি যারা হলেন (১) মেহেদী আসিফ পার্থ (২) আহসান হাবীব চপল (৩) আতিকুর রহমান (৪) নয়ন মন্ডল (৫) দেলোয়ার হোসেন বাবু (৬) জাকির হোসেন (৭) আব্দুর নূর তুষার( ৮) জনি ইসলাম ( ৯) আমজাদ হোসেন (১০) সাইফুল ইসলাম (১১) উজ্জ্বল হোসেন (১২) মোঃ আব্দুল (১৩) রাশেদুল (১৪) আতিকুল (১৫) শাকিলুর রহমান (১৬) বিপ্লব হোসেন (১৭) ফারুক হোসেন (১৮) লুৎফর রহমান,(১৯) সানোয়ার হোসেন (২০) নাদিম হোসেন সহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে বুধবার (১৯ মার্চ) থানায় মামলা রুজু হয়।
অপর দিকে একই দিনে চাঁদাবাজির মামলার আসামি হলেন (১) মেহেদী আশিক পার্থ (২) জুলফিকার আলী চৌধুরীর (৩) জুয়েল শাহ (৪) রেজাউল ইসলাম মওলা (৫) মাসুদ চৌধুরী (৬) মোঃ বেলাল (৭) কবির চৌধুরী সহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হয়েছে ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়,মেহেদী আশিক পার্থ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, আমার বাসা উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে। তবে আমি ঘটনাটি শুনেছি। যদি দলের কেউ অপরাধ করে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোকজন এসে থানায় হামলা করে পুলিশকে বেধড়ক মারপিট করেছে।
থানায় হামলা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় থানা এস আই সঞ্চয় কুমার বর্মণ বাদী হয়ে ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় পাঁচ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
যাযাদি/ এমএস