ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও সরকারিভাবে দেওয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির গ্রাহকদের কার্ডের মধ্যে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই স্লোগান এখনো সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ও মধ্যনগরে খাদ্য বান্ধব কার্ডের গায়ে লেখা রয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের কার্ডের গায়ে এখন পর্যন্ত " শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ" স্লোগান থাকা নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা খোদ সরকারি কর্মকর্তাদের এমন হাসিনা প্রীতিকে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনাটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কিনা তা নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। ধর্মপাশা উপজেলার খাদ্য গুদাম থেকে দেওয়া কার্ডে এখনো শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্লোগানটি রয়েছে। আর নিয়মিতই এসব কার্ড তুলে দেওয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের হাতে।
সম্প্রতি ধর্মপাশা ও মধ্যরগর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নর ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় সুবিধাভোগীদের হাতে থাকা প্রত্যেকটি কার্ডে ওই স্লোগানটি লেখা দেখা যায়। এদিকে, এখনো পুরনো শ্লোগানযুক্ত কার্ডে পরিবর্তন না করায় সুবিধাভোগিসহ স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে ফ্যাসিস্ট প্রীতি বিদ্যমান মনে করছেন তারা।
বাদশাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্র দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মোজাহিদ আমহেদ পাখি বলেন, ৫ আগস্ট একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। কাজেই অভ্যুত্থান পরবর্তীতে কোন সরকারি কর্মসূচিতে শেখ হাসিনার স্লোগান সরিয়ে নেয়া উচিত ছিলো। কার্ডগুলো জনবান্ধব করা যেত। এতদিনেও খাদ্য বিভাগের কার্ডে এমন স্লোগান থাকা দুঃখজনক। যদি কর্তৃপক্ষ জেনে বুঝেই আগের কার্ড ব্যবহার করে তাহলে ধরে নিবো তাদের মধ্যে এখনো ফ্যাসিস্ট হাসিনা প্রীতি রয়ে গেছে। এ ঘটনাটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কিনা তা নিয়ে তদন্তের দাবি যানাচ্ছি।
উপজেলা খাদ্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, কার্ড থেকে এই স্লোগান মুছতে হলে সময় দিতে হবে। আমি এখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত আছি এ বিষয়ে আপনার সাথে আমি পরে কথা বলব।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনি রায় ও মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, কার্ডে থেকে স্লোগানগুলো মুছে দেয়ার জন্য।
যাযাদি/ এসএম