পঞ্চগড়ে কোচিং সেন্টারে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের নামে মামলা হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
এদিকে ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে স্লোগান দেয়। মিছিলে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএসএম সোহরাওয়ার্দী বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছে। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের কোচিং সেন্টারে তার স্কুলেরই নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রাতেই তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর পরিবারের দাবি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগেও ওই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আপত্তিকর ম্যাসেজ বিনিময়সহ নানা অভিযোগ উঠেছিল।
যাযাদি/ এমএস