বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

ভাঙছে ঘোড়াউত্রা নদী, শেষের পথে নদী রক্ষা বাঁধের কাজ

বাজিতপুর-নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৫৫
ভাঙছে ঘোড়াউত্রা নদী, শেষের পথে নদী রক্ষা বাঁধের কাজ
ছবি: যায়যায়দিন

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী ৯টি নদী রক্ষাবাধ প্রকল্পের মধ্যে ৫টি প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে রয়েছে। এর মধ্যে বাজিতপুর উপজেলার আছানপুর ঘোড়াউত্রা নদীর ভাঙ্গনে বেশ কয়েকটি গ্রাম মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এ নদী তীরবর্তী আছানপুর, শাহপুর, কাইমেরবালী, বাবুগ্রাম ও নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ও শিংপুর গ্রামে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত ২ দশকে বিলিন হয়ে গেছে প্রায় ৪০০-৫০০ বসতবাড়ি।

নদী গর্বে বিলীন হওয়া গ্রামবাসীরা শহরের বিভিন্ন বস্তিতে। বাবুগ্রামটি প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিবছর সরকার ভাঙ্গন রোধে অর্থ ব্যয় করলেও কোনো কাজে আসছেনা এসব গ্রামের লোকজনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা। যদিও এসব জনপদে ভাঙ্গন রোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েকটি প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। আজ বুধবার সকালে ঘোড়উত্রা নদীর তীরবর্তী গ্রাম আছানপুর, কাইমেরবালী, দিঘীরপাড় ইউনিয়নের শাহপুর, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদী রক্ষা প্রকল্পের কাজ দ্রæত গতিতে চলছে। এর মধ্যে আছানপুরে একটি প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে, শাহপুরের দুটি প্রকল্পের কাজই ১মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে আছানপুরের দুটি প্রকল্পের কাজ মন্তরগতিতে। পাশ্ববর্তী নিকলী উপজেলার ৬টি প্রকল্পের কাজের মধ্যে ১টি প্রকল্পের কাজ সমাপ্তের পথে, ৩টি প্রকল্পের কাজ প্রায় অর্ধেক, ২টি প্রকল্পের মন্তরগতিতে এগিয়ে চলছে। এলাকাবাসী জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা ফেলে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে এখন আগের মত নেই। তবে, তারা প্রতিরক্ষা বাধের কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জানা যায়, বাজিতপুর ও নিকলী ২টি উপজেলার মতিন কনস্ট্রাশনের ৩টি প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির দিকে। প্রকল্পের লোকজন বলেন, স্থানীয় লোকেরা মাঝে মধ্যে প্রকল্পের লোকজনকে মারধর করার মত কিছু আলামত দেখিয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ।

তবে শাহপুরের একটি প্রকল্পের কাজ ঘোড়াউত্রা নদীর পানি উত্তাল হওয়ায় কিছুটা ঘোজামিল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন যায় যায় দিনকে বলেন, নদী রক্ষা বাধ প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগেই ২ উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রকল্প শেষ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা নদী তীর রক্ষা কাজে ওয়েব প্রটেকশনের দিকে নজর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে