গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ড্রেন ভরাট করে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতি বছর পানি বন্দী হয়ে পড়েন পাঁচটি গ্রামের দশ হাজার মানুষ। দুই কিলোমিটার ড্রেন মাটি দিয়ে ভরাট করে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বাগদা বাজার থেকে কালিতলা পর্যন্ত একটি পাকা সড়ক রয়েছে। বাগদা বাজার থেকে পলুপাড়া করতোয়া নদী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পানি নিষ্কাশন ড্রেন। এসএ খতিয়ান ভুক্ত এই ড্রেনটির ওপর সরকার বিভিন্ন সময়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে পর্যায়ক্রমে চারটি কালভাট নির্মাণ করে। কিন্তু স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি বাড়ীর সামনে ড্রেনটি মাটি কেটে ভরাট করে বাসাবাড়ি নির্মাণ করেন। এ ছাড়াও ভরাট করা ড্রেনের ওপর বিভিন্ন ব্যবসা-প্রষ্ঠিান নির্মাণ করে ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ছানোয়ার হোসেন (৪৯)জানান প্রভাব খাটিয়ে ড্রেনটি মাটি দিয়ে ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়। ফলে বৃষ্টি হলে পানি বের হতে না পারায় স্বাভাবিক ভাবেই অত্র এলাকার বোগদহ পলুপাড়া, দক্ষিণ বেতারা, ১০ নম্বর কলোনী, চ্যাংগাড়ী গ্রাম ও ১ নং কাটাবাড়ী পানিতে ডুবে যায়।
স্থানীয় যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার মন্ডল জানান, কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি ড্রেনটি দখলে নিয়ে ভরাটের কারণে গত কয়েক বছর ধরে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছি আমরা। শুধু তাই নয় ওই পাঁচটি গ্রামের সহসার্ধিক বিঘা জমির বিভিন্ন ফসলসহ বাসাবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলার বেতারা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, পানিবন্দী থেকে রক্ষায় জোর দাবি জানিয়ে গত ৪ মে রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকট ৯০০ জনের স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্ত দাখিল করা হয়েছে।