আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে ঘিরে পশু মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাধারণ খামার মালিক ও পালনকারীরা। কোরবানির বাজার ধরতে গরু মোটাতাজাকরণে এখন ব্যস্ত তারা। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার খরচও বেশি। সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় চোরাইপথে ভারতীয় গরুর আমদানি ঠেকানো না গেলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
এ বছর উপজেলায় মোট চাহিদার বিপরীতে বিক্রয়যোগ্য গরুর সংখ্যা বেশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্য্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবছর ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৯ হাজারের মতো পশু পরিচর্যা করে কোরবানির জন্যে প্রস্তুত করেছেন সাধারণ খামারি ও পালনকারীরা। যা চাহিদার তুলনায় বেশি রয়েছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কল্পবাস গ্রামের খামারী মোঃ শাহ আলম বলেন, একটি গরুর পেছনে যে অর্থ খরচ করা হচ্ছে, বিক্রয় করে সেই তুলনায় লাভ করা যাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন গো-খাদ্যে, ভিটামিন ও রোগপ্রতিরোধক ওষুধসহ অন্যান্য খরচ অনেক বেশি সে তুলনায় গরুর দাম বৃদ্ধি হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইজমাল হাসান বলেন, চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পশু মজুদ আছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু না প্রবেশ করলে খামারীরা লাভবান হবে।