শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাজারজাতে থাকছে না ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  ০৯ মে ২০২৫, ১৫:৪৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাজারজাতে থাকছে না ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার
ছবি: যায়যায়দিন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ক্যালেন্ডার প্রণয়ন-নিরাপদ আম উৎপাদন, বিপনন, পরিবহন ও বাজারকরণ বিষয়ে মতবনিমিয় সভা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে এই মতবিনিময় সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মোঃ আফাজ উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবুল কালাম সাহিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ ইয়াছিন আলী। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মনজুরে মাওলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান রাজশাহী রেলের ডেপুটি চিফ কমার্সিয়াল ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) তৌফিক আজিজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক, আম উদ্যোক্তা আহসান হাবীবসহ অন্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মোঃ ওবাইদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক মোঃ আব্দুর রাহিম, চাঁপাইনবাবগঞ্চ চেম্বারের পরিচালকগণসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের আম ব্যাবসায়ী ও চাষীরা।

মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিপক্ক হলেই আম পেড়ে বাজার জাত করা যাবে। থাকছে না আম সংগ্রহের নির্ধারিত তারিখ বা ক্যালেন্ডার। গত কয়েক বছরের সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় এবারও জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারগুলোতে অপরিপক আম বা রাসায়নিকের সাহায্যে পাকানো আম বাজারজাত হয় না। এটাই এখানকার সংস্কৃতি। তাই এখানে গাছ থেকে আম পাড়ার সময় নির্ধারণের প্রয়োজন পড়ে না। বিগত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবছরও কোন আম ক্যালেণ্ডার প্রণয়ন করা হবে না। ব্যবসায়ীরা পরিপক্ক আম বাজারে আমদানী করবেন এবং বিক্রি করবেন।

জেলা থেকে আম পরিবহণ এবং বাজারজাতকরণে কোন প্রকার সমস্যা যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান জেলা প্রশাসক। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আম পরিবহনে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর ভাড়া অতিরিক্ত ধরা হয় বলে আমচাষি ওব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে। তবে এ ব্যাপারে পরবর্তীতে কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে এখনো কোথাও আম ওঠেনি।

আমচাষিদের ধারণা, মে মাসের শেষ দিকে গুটি আম ও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত সুস্বাদু আম (জিআই পণ্য) ক্ষীরশাপাত বাজারে আসতে শুরু করবে। আম পাড়ার বিষয়ে সময় নির্ধারণ না করায় চাষিরা খুশি। তবে আড়তদাররা ৫০-৫২ কেজিতে মণ হিসেবে বিক্রি করতে আমচাষিদের বাধ্য করার বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আমচাষীরা। আমের ওজনের বিষয়ে চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান হয়নি এটা আম বাজারের উপর নির্ভর করবে। তবে শিবগঞ্জ উপজেলা কানসাট আম বাজারে কাঁচা আম ৪৫ কেজিতে মন এবং পাকা আম সাড়ে বিয়াল্লিশ কেজিতে মন হিসেবে আম বেচা কেনা হতেপারে বলে জানান সভার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সামাদ। কানসাট আম বাজারের পাশাপাশি আম বাজার ইজারাদা ও আম আড়তদার সমিতির সহযোগিতা কামনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ ও চেম্বারের সভাপতি মোঃ আব্দল ওয়াহেদ।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে