নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের শিবপুর আউদাটি গ্রামের এক গর্বিত সন্তান ড. এ এইচ এম কামাল। শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতে অবদান রেখে তিনি আজ জাতীয় পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি পেলেন ।
ড. কামাল বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিভাগটি গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে।
আজ ১৭ মে ২০২৫, তাঁর জীবনের একটি বিশেষ দিন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক তিনি “টেলিকমিউনিকেশন ও যোগাযোগ খাতে বিশেষ অবদান” শীর্ষক সম্মাননা পদকে ভূষিত হন। দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে তাঁর গবেষণা, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং নীতিনির্ধারণে পরোক্ষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পদক প্রদান করা হচ্ছে।
গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তাঁর হাতে পদকটি তুলে দেন বলে জানা গেছে।
ড. কামালের বাবা মরহুম আব্দুল কদ্দুছ একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। চার ভাইবোনের মধ্যে দুই বোন ও এক ভাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। এ পরিবার শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধে অনন্য এক দৃষ্টান্ত।
এ অর্জন কেবল ড. কামালের ব্যক্তিগত গৌরব নয়, বরং এটি তাঁর পরিবার, জন্মস্থান কেন্দুয়া এবং জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও এক বিরল সম্মান।
ড. কামালের আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও এলাকাবাসী তাঁর এই সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। তাঁরা তাঁর ভবিষ্যৎ আরও সমৃদ্ধ হোক এই কামনা জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।