রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নতুন পথ বানাচ্ছে ভারত

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ মে ২০২৫, ২১:৫৫
বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নতুন পথ বানাচ্ছে ভারত
ছবি সংগৃহিত

বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নতুন পথ বানাচ্ছে ভারত, মায়ানমারের সেই রাখাইনের বন্দর দিয়েই ‘ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’-এর এক কর্তা জানিয়েছেন, ভারত-মায়ানমার ‘কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প’ হবে বাংলাদেশকে এড়িয়ে।

শিলিগুড়ির ‘চিকেন নেক’ ছাড়া বিকল্প ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগের জন্য বিকল্প পথের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে চলেছে কেন্দ্র। যার ‘ভরকেন্দ্র’ হবে কলকাতায়।

1

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে ক্ষমতায় এসেছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনা সময় ‘ট্রানজিট রুট’ নিয়ে সমঝোতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অগ্রগতি হলেও তা থমকে গিয়েছে। এই সময় সমুদ্র ও মায়ানমারের সড়কপথ ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগরক্ষাকারী বিকল্প পথের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ‘ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’ (এনএইচআইডিসিএল)-এক কর্তা ওই প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে অসমের বরাক উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র শিলচর পর্যন্ত প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চার লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করেছে ভারত সরকার। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রকল্পের এই রাস্তা যাবে মায়ানমার সীমান্তের অদূরের পাঁচগ্রাম পর্যন্ত। নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে এনএইচআইডিসিএল।

এই বিকল্প পথের সমুদ্র -যোগাযোগ হবে কলকাতা থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিট্টে বন্দর পর্যন্ত। সিট্টে থেকে বঙ্গোপসাগর ছেড়ে মায়ানমারের কালাদান নদীপথে সে দেশের পালেটয়া যাবে ওই জলপথ। এর পরে সড়কপথে মিজোরামের জোরিনপুই পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। নতুন শিলং-শিলচর জাতীয় সড়ক এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করবে।

পরবর্তী পর্যায়ে জোরিনপুই থেকে লুংলেই হয়ে আইজল পর্যন্ত সংযুক্ত হবে। ড. ইউনূস গত মার্চ মাসে চীন সফরে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারত স্থলবেষ্টিত এবং ঢাকা এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’’ তার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নতুন প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হয়েছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে