শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নতুন ঘর পেয়ে খুশি নাজিরপুরের মোয়াজ্জেম মিয়া

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২৫, ১৭:৪০
নতুন ঘর পেয়ে খুশি নাজিরপুরের মোয়াজ্জেম মিয়া
ছবি: যায়যায়দিন

পিরোজপুরের নাজিরপুরের পঙ্গু মোয়াজ্জেম মিয়ার ঘরটা এমনিতেই নড়বড়ে ছিল। ঝড়-তুফানের সময় ভয়ে থাকতেন। এর মধ্যে একদিন হঠাৎ কালবৈশালী ঝড়ে গাছ পড়ে ভেঙে পড়ে ঘরের উপর। ঘরটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চোখের সামনে যখন প্রবল অন্ধকার, তখন আলো হয়ে পাশে দাঁড়ায় স্থানীয় প্রশাসন। মাত্র দুই দিনের মধ্যে টিনসেট নতুন ঘর পেয়ে অনেক খুশি তিনি।

নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১ নং মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের চরমাটিভাঙ্গা গ্রামের অসহায় পঙ্গু মোয়াজ্জেম মিয়ার ঘড়টি গত ২০ মে কালবৈশালী ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে পড়ে বসতঘর দুমড়ে–মুচড়ে যায়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান বসতঘরের বাসিন্দারা। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। মানুষের সাহায্যেই কোনো রকমে সংসার চলে। এর মধ্যে নতুন ঘর কীভাবে বানাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি।

1

মোয়াজ্জেমের ঘর ভেঙে পড়ার কথা জানতে পারেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফজলে রাব্বি এবং তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘর হারানো পরিবারটিকে একটি নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসক মো: আশরাফুল আলম খান এর নির্দেশনায় মাত্র দুই দিনের মাথায় তার নিজ জমিতে একটি টিন সেট ঘর তৈরি করে দেন। গত ২১ মে বুধবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নতুন ঘরে ওঠেছেন মোয়াজ্জেম।

মোয়াজ্জেম বলেন, নতুন ঘর পাওয়ার কথা তিনি ভাবতেও পারছিলেন না। এখন নতুন ঘর পেয়ে মনে অনেক শান্তি পাচ্ছেন। আগে ঝড়-বৃষ্টির সময় ভয়ে ঘুমুতে পারতেন না। এখন আর সেই ভয়ও থাকবে না।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. ফজলে রাব্বি বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কালবৈশাখী ঝড়ে তাদের ঘর ভেঙেচুরে যায়। নতুন করে ঘর বানানোর সামর্থ্য ছিল না তাদের। পরে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন ঘরটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে