পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া বন্দরের নূরবাগ এলাকায় ১৩টি পরিবারের ২ শতাধিক মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে বৈদ্যুতিক খাম্বা বসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরের সিনেমা হল রোডে নূরবাগ এলাকায় ওই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের শতাধিক নারী, পুরুষ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পরে তারা ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা ১৩টি পরিবারের প্রায় ২০০ মানুষের একমাত্র পথ এটি। এই পথ দিয়ে আমরা ৩০ বছর ধরে চলাচল করে আসছি। হঠাৎ করে আমাদের চলাচলের পথ আটকে বিদ্যুতের খাম্বা বসানো পায়তারা শুরু করেছেন। যদি পথ আটকে খাম্বা বাসানো হয় তাহলে আমাদের মরণদশা হবে। বাড়িতে জিম্মি হয়ে মরতে হবে। অসুস্থ হলে কাউকে হাসপাতালে পর্যন্ত নেওয়া যাবে না। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, আমাদের ১৩টি পরিবারের বৃদ্ধ, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে মানবিক কারণে হলেও আমাদের পথটা যেন সচল রাখা হয়। প্রয়োজনে আমরা পথের জমির যে বাজার মূল্য হবে তা দিয়ে দিব। কিন্তু তারা অমানবিকভাবে আমাদের পথ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন। যে কারণে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি সব পক্ষকে নিয়ে বসে যেন একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করা দেয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রিয়াজ পঞ্চয়েত বলেন, চলাচলের পথ বন্ধ করে কোনো ভাবেই ২শতাধিক মানুষকে জিম্মি করা যাবে না। আমরা চাই একটি সুন্দর সুষ্ঠু সমাধান। ইউএনও মহোদয়ের মধ্যস্থতায় জমির মালিক ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে এই সমাধান করা সম্ভব।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জমির মালিক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, আমার জমিতে আমি খাম্বা বসাবো। এখানে বাঁধা দেওয়ার কারো এখতিয়ার নেই। তারা বেআইনী ভাবে বাধা দিচ্ছেন।