ঈশ্বরদী ইপিজেডের নারী শ্রমিক মাহফুজা নামে আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, সোমবার রাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যান মাহফুজা খাতুন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টায় মাহফুজার মৃত্যু হয়। মাহফুজা ঈশ্বরদী পৌর শহরের পিয়ারাখালী জামতলা এলাকার সাগর হোসেনের স্ত্রী। তিনি নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইপিজেডের সাপ্লাই পানি পান করে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তার পরিবারের।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামের কণা খাতুন (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কণা খাতুন ফমিন ইসলামের স্ত্রী। কণা ইপিজেডের আইএইচএম কোম্পানির কোয়ালিটি কাটিং সেকশনের কর্মী ছিলেন। এ নিয়ে ঈম্বরদী ইপিজেডের দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দিন দিন অসুস্থ্য রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ইপিজেডের বিভিন্ন কোম্পানীর প্রায় ছয় শত এর বেশী শ্রমিক অসুস্থতায় ভূগছেন।
অপরদিকে পাবনার ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি ও দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) বিকেল থেকেই ঈশ্বরদীতে তদন্তের প্রাথমিক কাজ শুরু করে কমিটি।
ছয় সদস্যের এ কমিটিতে টিম লিডার করা হয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক এ এইচ এম মোস্তফা কামালকে। অন্য সদস্যরা হলেন- টেকনিক্যাল অফিসার শরিফ উদ্দিন হাসনাত, চাঁদপুর উত্তর মতলব ষাটনল ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ফাহমিদা ফাইজা, খাগড়াছড়ি চেঙ্গির সহকারী সার্জন রাজেশ দেব, আইইডিসিআরের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সোহেল রানা এবং ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট সজিবুল ইসলাম।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলী এহসান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, সোমবার বিকেল থেকে তারা কাজ শুরু করেছেন। কমিটি প্রথমেই ঈশ্বরদী ইপিজেড পরিদর্শন করে।
ঈশ্বরদী থানার তদন্ত (ওসি) এবিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদী ইপিজেডে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এবিএম শহীদুল ইসলাম বলেন, আজকের (মঙ্গলবার) অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমাদের মেডিকেল সেন্টার এবং বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিপুল খাবার স্যালাইন মজুত আছে। যাদের প্রয়োজন, তারা এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। পানি পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।