সারাদেশ

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরা যাত্রীর চাপ বেড়েছে ফেনী-পরশুরাম সড়কে। প্রতিদিন পরশুরাম সিএনজি স্টেশন সহ হাসপাতাল মোড়, ডাকবাংলা মোড়, চিথলিয়া, ধনিকুণ্ডা রাস্তার মাথা সহ বিভিন্ন স্টেশনের শত শত যাত্রী দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও পরিবহনের দেখা মিলছে না।

অপরদিকে পরশুরাম সিএনজির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারণে রিজার্ভ ছাড়া লোকাল যাত্রী সিএনজিতে না নেওয়ার কারণে ভোগান্তি বেড়ে গেছে বহুগুন।

জানা যায়, সিএনজির রিজার্ভ ছয়শো থেকে ৭০০ টাকা করে আদায় করছে। লোকাল দিনে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে নিচ্ছে। রাতে আশি থেকে ১০০ টাকা করেও আদায় করছে কিন্তু উপজেলা প্রশাসনকে কোনো মোবাইল কোর্ট পরিচারনা করতে দেখা যায়নি।

অপরদিকে চালকদের দাবির প্রেক্ষিতে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ৪০ টাকার সিএনজি ভাড়া বাড়িযে ৪৫ টাকা করে দিলেও বাস্তব ক্ষেত্রে সিএনজি চালকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাংতি না থাকার অজুহাত দেখিয়ে ৫০ টাকা করে আদায় করছে। এতে যাত্রীদের চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

অপরদিকে বাস সার্ভিস চালু থাকলেও ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে ২৫ টাকার ভাড়া বৃদ্বি করে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হযেছে। প্রতিটি বাস ধারণক্ষমতার চেয়ে বহুগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ফেনী যেতে হচ্ছে। দাড়িয়ে ও ছাদে করে ফেনী পরশুরাম যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কে যানবাহনের চাহিদা থাকলেও তবে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিবহন না থাকায় যাত্রীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ পরশুরাম উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতী আমিনুল ইসলাম বলেন পরশুরামে সিএনজি'র কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে, অথচ ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তারা ৫০ টাকা করে দিতে বাধ্য করছে। পরশুরাম থেকে ফেনী রিজার্ভ ছাড়া সিএনজি যায়না। আরো একটি সাংঘাতিক সিন্ডিকেট তারা স্টেনে কোন সি এনজি রাখেছেনা। পরশুরামের মানুষ যেনো তাদের কাছে জিম্মি। তিনি আরোনবলেন আজকের ঘটনা নিজেই ভুক্তভোগী। ইউএনও সাহেব এবং প্রসাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আইন করলে হবেনা শুধু যদি বাস্তবায়ন করা না হয়, যে লাউ সেই কদু। পরশুরামে এগুলো দেখার প্রতিকার করার যেনো কেউ নেই। এই জুলুমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। জনগণের ভোগান্তি আর কতদিন। যথেষ্ট পরিমাণ বাসও নেই। পরশুরামের বাসী কথা বলুন এই নৈরাজ্য নিয়ে।

রবিবার (১৫ জুন) পরশুরাম সিএনজি ও বাস স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেক পরিবার শিশু ও লাগেজ নিয়ে বাস ও সিএনজির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর একটি বাস আসলেই যাত্রীরা উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।

আবদুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, এক ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করছি। যাত্রীর তুলনায় বাস ও সিএনজির সংখ্যা অনেক কম। সাথে তীব্র গরমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পরশুরাম সিএনজি স্টেশনে সিএনজি চালকরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিজার্ভ ছাড়া ফেনীতে যাত্রী নিয়ে যায় না।