বাংলাদেশে নির্দিষ্ট তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে পাসপোর্ট না দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এসব বিধিনিষেধ ১৯৭৩ সালের পাসপোর্ট অধ্যাদেশ ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
নিম্নোক্ত তিন শ্রেণির ব্যক্তিরা সাধারণত পাসপোর্ট পাওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হন:
যেসব ব্যক্তি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন কিংবা কোনো মামলায় বিচারাধীন, তারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে তা বাতিল বা স্থগিত করা হয়। তবে আদালতের অনুমতি থাকলে কিছু ক্ষেত্রে তারা পাসপোর্ট পেতে পারেন।
যদি কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বা বিদেশ নীতির জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হন, তবে তাদের পাসপোর্ট দেওয়া যাবে না। গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশ বা সরকারের অভ্যন্তরীণ নীতির ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।
আবেদনপত্রে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদন বাতিল করা হয়। কেউ যদি ভুয়া পরিচয়, ঠিকানা বা নথি ব্যবহার করে পাসপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা করেন, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, অনেক সময় আবেদনকারীরা মামলার তথ্য গোপন করেন, ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করেন বা পরিচয় গোপন করেন—এমন ক্ষেত্রে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।