বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

মণিরামপুরে একই ক্ষেতে ৩ সবজির চাষ করে কৃষকদের মুখে তৃপ্তির হাসি

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
  ১৬ জুন ২০২৫, ১৮:৩৪
আপডেট  : ১৬ জুন ২০২৫, ১৯:৪১
মণিরামপুরে একই ক্ষেতে ৩ সবজির চাষ করে কৃষকদের মুখে তৃপ্তির হাসি
ছবি: যায়যায়দিন

যশোরের মণিরামপুরে একই ক্ষেতে বেগুন গাছের উপর থোকায় থোকায় ঝুলছে শসা আর করলা। প্রতিদিন ক্ষেতে উৎপাদিত কয়েক হাজার মণ শসা’সহ করলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের চাহিদা মেটাচ্ছেন কৃষক।

একই ক্ষেতে তিন প্রকারের সবজি উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রয়োগে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে। দেশের বড় মোকামের পাইকার ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকের কাছ সবজি কেনায় মধ্যস্বত্বভোগিদের হাত থেকে রেহায় পাওয়ায় উপযুক্ত বাজার মূল্য পাচ্ছেন কৃষক। উপজেলার দেলোয়াবাটি, হুরগাতি, কর্ন্দপপুর,জয়পুরসহ সাত গ্রামের কৃষক প্রায় দুইশ’ বিঘা জমিতে এই প্রযুক্তিতে তিন প্রকারের সবজি চাষ করছেন।

সরেজমিনে দেলোয়াবাড়ি গ্রামে গেলে এই চিত্র চোখে পড়ে। ক্ষেত থেকে তুলে আনা শসা গ্রামের সড়কের পাশে রেখে স্কেল করে ট্রাক বোঝায় করা হচ্ছিল।

পাইকার ব্যবসায়ী কওছার আলী বলেন, প্রতিদিন ট্রাকযোগে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে শসা,বেগুন ও করলা কিনে ঢাকা ও খুলনার মোকামে নিয়ে যান। তারমতো আরও পাইকার প্রতিদিন ৭/৮টি ট্রাক ও করিমন-আলমসাধুযোগে বড় মোকামে নিয়ে যচ্ছেন।

আলমগীর হোসেন, রিয়াজ হোসেন, মাহফুজুর রহমানসহ একাধিক কৃষক জানান, বছর তিনেক আগে এলাকার শরিফুল ইসলাম টুকু নামের একজন প্রথমে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। তিনি সফল হলে, তার দেখাদেখি তারা এভাবে একই ক্ষেতে তিন ধরনের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বছরে কেবল আমন মৌসুমে ধান হয়। বাকি সময় তারা এই সবজি চাষ করেন।

তারা আরও জানান, আমন ধান ঘরে তোলার পর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বেগুন চাষ করেন। গাছে পুরো বেগুনের ফলন শুরু হলে গোড়ায় বোপন করা হয় শসা এবং করলার বীজ। বেগুনের ফলন শেষ হতেই শসা ও করলার ফলন শুরু হয়।

তখন বেগুন গাছই শসা ও করলার মাচানের কাজ করে। বেগুন ক্ষেতে দেয়া রাসায়নিক সার শসা ও করলা ক্ষেতের উর্বতার কাজ করায় আলাদা করে রাসায়নিক সার দেয়া লাগে না দাবি কৃষকদের। এভাবে প্রতি বিঘা জমি হতে এই তিন ধরনের সবজি বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকার অধিক মুনাফা করছেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে