কুমিল্লার তিতাসে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী উপহরণের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার লালপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত মো. ফারুক মিয়া (২১) উপজেলার লালপুর গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে। অপহরণের শিকার শিক্ষার্থী লালপুর নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার বিকালে আটককৃত ফারুককে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটককৃত ফারুক মিয়াসহ ৪/৫জন লোক লালপুর নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ঔ শিক্ষার্থীকে লালপুর বাজার এলাকায় প্রায় উত্যক্ত করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ মে দুপুরে টিফিনের সময় বাড়ি থেকে স্কুলে আসার পথে ফারুকসহ তার সঙ্গীরা রাস্তা থেকে শিক্ষার্থীর চোখে স্প্রে করে অপহরণ করে। এক পর্যায়ে ঔ শিক্ষার্থীকে গোমতী নদীতে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হাত-পা বেঁধে, মুখে কসটিপ পেচিয়ে লালপুর গ্রাম সংলগ্ন মোতালেবের ধইঞ্চা খেতের ভেতর নিয়ে যায়। এসময় একজন মহিলা নদীতে গোসল করতে আসছে দেখে, তারা ঐ শিক্ষার্থীকে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
এদিকে, ঐ শিক্ষার্থীর মামা লালপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. রুবেল বাদী হয়ে ২৮ মে লালপুর নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের পর মাঠে নামে তিতাস থানা পুলিশ। উক্ত তিন আসামীকে পৃথক ও যৌথভাবে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক ফারুকের সম্পৃক্ততা বের হয়ে আসে। সর্বশেষ মুরাদনগর সার্কেল অফিসে মঙ্গলবার চারজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ফারুককে লালপুর থেকে আটক করা হয়।
তিতাস থানার ওসি মো. শহীদ উল্যাহ জানান, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় দীর্ঘ তদন্তের পর একজনকে আটক করা হয়েছে। পূর্ব থেকেই আটককৃত ব্যক্তি ঐ শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করতো। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্য আসামীদের আটকে পুলিশসহ একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।