চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে (এনআইডি) হয়রানি ও ঘুষ আদায় এবং পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেনের তথ্য পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়। দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা যাচাইবাছাই করা হচ্ছে।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে নগরীর লাভ লেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুদকের চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের চার সদস্যের একটি টিম এ অভিযান চালায়।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নিষ্পত্তি না হওয়া চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তদন্ত করছে দুদক। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট চারটি সন্দেহজনক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এনআইডি সংশোধনে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার যোগসাজশে অর্থ লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে।
অভিযানের বিষয়ে দুদক চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। যেগুলো এরইমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশোধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের কাছে চারটি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার রয়েছে। যার মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়েছি। এই ব্যাংক একাউন্টগুলো তাদের নয় বলে জানিয়েছে। আমরা ব্যাংক একাউন্টগুলো কাদের নামে রয়েছে তা যাচাই করবো।
দুদকের অভিযানের বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, যে চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তথ্য নিতে এসেছে তা আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। পাশাপাশি কার্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলেন। আমরা তা দিয়ে সহায়তা করেছি। আমার কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।