কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে পার্লারে পুরুষ দিয়ে সুন্দরী নারীদের সাজগোজের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এক তরুণীর বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারীরা এ পার্লারে গেলে প্রথমে দুই কিশোরী পার্লার কর্মী সাজানোর প্রস্তুতি হিসেবে প্রাথমিক কাজ শেষ করে এই পুরুষ কর্মীকে সৌন্দর্য বর্ধনের নিপুণ কারিগর হিসেবে উপস্থাপন করে তাকে দিয়ে নারীদের সাজগোজ করাতে বাধ্য করে।
নারীরা নিয়মিত এ জঘন্য প্রতারণার শিকার হলেও লোকমূখের দূর্নাম থেকে বাঁচতে নিরবে এ প্রতারণা সহ্য করে আসছে। এমন কি পুরুষ দিয়ে সাজগোজের বিষয়টি ক্যামেরায় ধারণের ভয়ে মুখ খুলার সাহস করেন না কোনো ভূক্তভোগী।
সম্প্রতি এ পুরুষ কর্মী সানি বাজারের এক দোকানে পণ্য ক্রয় করতে গেলে তাকে দেখে অপর পুরুষ ক্রেতা ক্ষীপ্ত হয়ে, এই ছেলেটি তার নববধূকে সাজানোর ঘটনা ফাঁস হলে অনুষ্ঠানস্থলে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় বলে গুরুতর অভিযোগ তুলে। এতে ঐ যুবক দ্রুত স্থান ত্যাগ করে নিজেকে রক্ষা করে।
সরেজমিনে গিয়ে সাইনবোর্ড এ পার্লারের স্বত্বাধিকারী সামিরা সোলতানা ও মোশরফা নামের দুই নারীর নাম দেখা গেলেও প্রকৃত মালিক হচ্ছে নুরুল আবছার।
অভিযোগ উঠা পার্লার মালিক নুরুল আবছারের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি দীর্ঘদিন যাবত নারী কর্মীর পাশাপাশি সানী নামের পুরুষ কর্মী দিয়ে কাজ করানোর কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ উঠায় তাকে দিয়ে এখন কাজ করান না। তবে তাকে দিয়ে কেউ করাতে চাইলে ডেকে আনেন। তার কারণে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন।
অভিযুক্ত পার্লার কর্মী সানির সাথে মোবাইল কথা হলে জানান, তিনি এখনো মালিক ডাকলে গিয়ে সাজগোজের কাজ করে দেন বলে স্বীকার করেন।
বাজারের সচেতন ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারের যত্রতত্র পার্লার গড়ে তুলে এক শ্রেণীর অসাধু পার্লার মালিক চড়া বেতনে সুন্দরী বিউটিশিয়ানদের কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরে আরো বেশী অর্থের প্রলোভনে ফেলে গোপনে মাদক কারবারসহ অনৈতিক কাজে ব্যবহারের কারণে এলাকার উঠতি তরুণ-তরুণী ও কোমলমতি কিশোর কিশোরীদের বিপথগামীতার মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
সচেতন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী উক্ত গুরুতর বিষয়টি তদন্ত পূর্বক জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান প্রশাসনের নিকট।
ঈদগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আছাদুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, কোনো ভূক্তভোগী থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।