পরিবারের চার সদস্যসহ ১৮ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। শনিবার (২১ জুন) সদরের কুশখালী ও শ্যামনগরের কালিন্দী নদীতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশিদের হস্তান্তর করা হয়।
ভারত থেকে ফেরত আসা এসব বাংলাদেশির মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী-শিশু রয়েছেন। কুশখালি সীমান্তে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ভারতীয় আমুদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার বিকাশ কুমার এবং বাংলাদেশের কুশখালী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাছিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির মিডিয়া কর্মকর্তা মিলন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ১৪ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। এরা দেশের বিভিন্ন জেলার নাগরিক। তারা অবৈধভাবে ভারতে ছিলেন। বিএসএফ তাদের আটক করে। পরবর্তীতে তাদের সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই ১৪ জন বাংলাদেশি হলেন- ঢাকার কামরাগিংর চর থানার মাদ্রাসা গলির বাবু মিয়ার কন্যা মারিয়া আক্তার, সেলিম মিয়ার কন্যা নুসরাত জাহান, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার নগরঘাটা গ্রামের বিমল কৃষ্ণ মন্ডলের কন্যা রাণী মন্ডল, দেবাশীষ মন্ডলের কন্যা রিয়া মন্ডল,
খুলনার কয়ারা উপজেলা নাকসা গ্রামের মৃত আমির গাজীর কন্যা নাছিমা বিবি, রেজাউল সরদারের কন্যা সুমাইয়া খাতুন, মিস রোকাইয়া, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার বরাব গ্রামের রহমত আলীর কন্যা সাথী আক্তার, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পাইগাজী গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র জাকির হোসেন,
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানান, এসব নাগরিকদের তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, শ্যামনগরের কালিন্দী নদীতে পতাকা বৈঠকে ভারত থেকে ফেরত আসা চার বাংলাদেশি হলেন ---সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের আব্দুস সালাম সরদারের ছেলে মো. নূর আলম, তার স্ত্রী আয়েশা খাতুন, তাদের দুই শিশু কন্যা লাবিবা ও লামিয়া।
তারা আড়াই বছর আগে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্টে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যান। এরপর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা কেরালা রাজ্যে থাকেন। সম্প্রতি দেশে ফেরার জন্য সীমান্তে আসলে বিএসএফ তাদের আটক করে।