এখন আর মানুষ একা থাকছে না । তথ্য প্রযুক্তির সময় মানুষের সঙ্গ দেওয়ার জন্য আর রক্ত মাংসের প্রয়োজন হচ্ছে না। এখন কথা বলার জন্য রয়েছে চ্যাটজিপিটি। যে কোনও প্রশ্ন বা গল্প করলেই সহজে উত্তর দিয়ে দেয় সে।
শুধু গুরুগম্ভীর আলোচনা নয়, সে লিখে দেয় কবিতা। বলে দেয় প্রেমিকের মান ভাঙানোর কৌশলও। কিন্তু আমাদের তো প্রশ্নের শেষ নেই। তাই অনেকেই মজার ছলে নানারকম প্রশ্ন করে ফেলে যা অত্যন্ত বিতর্কিত। যার জেরে পড়তে হতে পারে বিপদেও।
কীভাবে বিস্ফোরক তৈরি করে, কীভাবে কাউকে হত্যা করা যায়
হয়তো কোনও কারণ ছাড়াই, স্রেফ কৌতুহলের বশে চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করে বসলেন, কীভাবে বিস্ফোরক তৈরি করবেন। অর্থাৎ এমন কোনও প্রশ্ন যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তা জিজ্ঞেস করলেই লগ আউট হয়ে যেতে পারে চ্যাটজিপিটি। পরবর্তীতে লগ ইন করতে বেশ বেগ পেতে হবে।
কারও ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া
চ্যাটজিপিটি প্রশ্নের উত্তর দেয় বলে ভুলেও কারও ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইবেন না। ধরুন এমন কোনও তথ্য চেয়ে বসলেন, যা কোনওভাবে অন্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। ধরুন কারও ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলেন, তা কখনই জানাবে না চ্যাটজিপিটি। উলটে এধরনের প্রশ্ন করার জন্য আপনি পড়তে পারেন বিপদে।
এখানেই শেষ নয়। ধরুন, পরীক্ষার হলে উত্তর লিখতে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিলেন। তাতেও পড়তে পারেন সমস্যায়। তবে মাথায় রাখবেন আর যাই করুন, ভুলেও অপরাধমনস্ক কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। তাহলে মজা কখন ‘সাজা’ হয়ে দাঁড়াবে বুঝতেও পারবেন না!