সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

বারহাট্টায় প্রবাসীর বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  ২৩ জুন ২০২৫, ১৩:৩৬
বারহাট্টায় প্রবাসীর বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ
নেত্রকোনার বারহাট্টায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ -ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার বারহাট্টায় মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক দেশে ফিরে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল দুই সন্তানের জননীকে।

অবশেষে গত ১৬ জুন দিবাগত রাতে অভিযুক্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী ওই ভুক্তভোগীর ঘরে জোরপূর্বক ডুকে ধর্ষণ করে ।ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী হাসি (৩৩) আক্তার উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের স্বল্প দশাল গ্রামের সুলতান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।

অভিযুক্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী রাব্বি (২৫) একই এলাকার হেলাল মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ জুন বুধবার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নেত্রকোনায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী। নারী ও শিশু মোকদ্দমা নং ২২২।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানা যায়, দীর্ঘ দিন পর রাব্বি মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছে। দেশে এসে ভুক্তভোগী নারীর ফোন নাম্বারে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। গত ১৬ জুন সোমবার দিবাগত রাত ১১ ঘটিকায় সুযোগ বুঝে ঘরে ডুকে ওই নারী কে ধর্ষণ করে রাব্বি।

এরপর ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় হাসি আক্তারের স্বামী সুলতান মিয়া রাব্বি কে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে আশপাশের মানুষও বিষয়টি অবগত হয়।

ধর্ষিতা ওই নারী বলেন, রাব্বি আমাকে দেশে আসার পর থেকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো ঘটনার দিন রাতে সে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ছুরি দিয়ে মেরে ফেলবে বলে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে।

আমি গরীব মানুষ, এখন আমার স্বামী বলছে আমাকে নিয়ে সংসার করবে না। ঘটনার দিন রাতে রাব্বির বাবা বলেছিলো তারা আমাকে ৪ লক্ষ টাকা দিবে। কিন্তু সকাল বেলায় তারা আর আমার খবর নেয় নি। আমি এর বিচার চাই।

ধর্ষিতার স্বামী সুলতান মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে ব্র্যাক অফিসে একটি মামলা চলছে। রাগে অভিমানে বেশ কিছুদিন আমি আমার স্ত্রীর কাছে যাই না। ঘটনার দিন রাতে আমি গিয়ে দেখি রাব্বি আমার স্ত্রীর ঘর থেকে বের হচ্ছে।

আর আমার স্ত্রী বলছে কাজটা ভাল করিসনি রাব্বি। পরে আমি তাকে গিয়ে ধরে ফেলি। পরদিন আমার স্ত্রী তাদের ভয়ে আমার বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

রাব্বির বাবা হেলাল মিয়া বলেন, এটা সুলতানের ষড়যন্ত্র। ঘটনার পর দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে সালিশ দরবার হওয়ার কথা। তার স্ত্রী কে ডিভোর্স দিতে তার ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন।

এই টাকা হয়তো তার দেয়া সম্ভব নয় তাই সে নাটক সাজিয়েছে। রাব্বি কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত রাব্বির বাবা হেলাল মিয়ার নামেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত নেত্রকোনায় ১৬ জুন ২০১৩ সালের একটি মামলা বিচারিক প্রক্রিয়ায় রয়েছে। যার মোকদ্দমা নং ৩৬৫।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে