মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে দুইটি বাল্কহেড আটক করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল রোববার (২২ জুন) বিকেলে দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পারুরিয়া চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসম শুরুতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে একটি তিনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা গেছে, সরকারিভাবে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাহাতপুর এলাকায় বালু মহল হিসাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তবে ইজারাকৃত স্থানে বালু না কেটে উত্তোলনকারীরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পারুরিয়া চর এলাকায় বাল্কহেড বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছিল।
খবর পেয়ে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দেয় এবং দুটি বাল্কহেড জব্দ করে আটক করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ইজারা দেওয়া হয়েছে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। অথচ তারা ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এসে বালু কাটা হয়। এর ফলে পারুরিয়া গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেন বলেন, যেখানে ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেখানেই বালু কাটার অনুমতি আছে। অন্য কোনো জায়গা বালু উত্তোলন বৈধ নয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ড: মানোয়ার হোসেন মোল্যা মুটো ফোনে বলেন, পদ্মা-যমুনা নদীতে যেখানে বালু মহল ইজারা দিয়েছি সেখানে বালু না কেটে অন্য জায়গায় কাটচ্ছে সব খানে একই অবস্থা। বাঘুটিয়া যমুনা নদী থেকে এলাকার লোকজন দুইটি বাল্কহেড আটক করার বিষয়টি জানা নেই।
খোঁজ নেব ও যদি স্থানীয় একজন বাদী হয়ে থানায় মামলা দেয় আটক দুইটি বাল্কহেড যাতে ছাড়া না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।