৪৫ ঘণ্টা পর পাবনা ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বাস মালিক-শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে ঢাকা-পাবনা রুটে বন্ধ হওয়া বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৬টার দিকে পাবনা থেকে প্রথম বাস ছেড়ে যায় এবং কোনো অসুবিধা বা বাধা ছাড়াই শাহজাদপুর অতিক্রম করে পাবনার বাসগুলো।
পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাদশা জানান, দুই জেলার জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় এ বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে স্বস্তি ফিরেছে পাবনা ও ঢাকাগামী মানুষদের।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের ধর্মঘট চলছিল। ২৭ জুন রাতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতা শিমুল বিশ্বাস ও দুই জেলার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আমাদের ডেকেছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক। সেখানে আমাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ হয়। আমরা শাহজাদপুরের বাস মালিক শ্রমিকদের অন্যায় ও অনিয়মের কথা জানিয়ে এর স্থায়ী সমাধান চাই। তৎক্ষণাৎ না হলেও দ্রুতই এর স্থায়ী সমাধান করা হবে, এমন আশ্বাসে আজ সকাল ৬টায় আমরা বাস ছেড়েছি। স্বাভাবিকভাবেই বাসগুলো যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে অবশ্যই এর একটি সুষ্ঠু সমাধান হতে হবে। কেননা চাপের মুখে তারা এভাবে অনেকবার সব নিয়ম মেনে নিয়েছেন। কিন্তু পরে আবার তারা সেই ঝামেলাই করেন।
এর আগে শাহজাদপুরের বাস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সড়কে চাঁদাবাজিসহ মাঝে মাঝেই পাবনার বাস শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন শুরু করে পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপ ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতিসহ তিনটি সংগঠন। গত ২৫ জুন অপরাধ ছাড়াই পাবনার একজন শ্রমিককে মারধর করে শাহজাদপুরের বাস শ্রমিকরা। এছাড়া পাবনায় শাহাজাদপুরের বাস চলাচলের ক্ষেত্রে পাবনার মালিক ও শ্রমিক গ্রুপের কোনো নিয়ম মানে না তারা। অথচ পাবনার বাস ও শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন চালায়। শাহাজাদপুর ছাড়া সড়কপথে পাবনা থেকে ঢাকা যাওয়ার কোনো বিকল্প সড়ক না থাকায় তারা এমন স্বেচ্ছাচারিতা ও নির্যাতন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পাবনা জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম বলেন, পাবনা ও সিরাজগঞ্জের মালিক-শ্রমিকরা ঝামেলা করে নিজেরা মেটানোর চেষ্টা করে। পরে রাজনৈতিক নেতাদের দিয়েও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। নানা গণমাধ্যমে বিষয়য়টি জানতে পেয়ে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপআলোচনা করে দ্রুতই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এরপর থেকে ঢাকা-পাবনা রুটে যয়ান চলাচল স্বাভাবিক হয়।