শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

কালিয়ায় খাশিয়াল-নড়াগাতী সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

কালিয়া(নড়াইল) প্রতিনিধি
  ২৮ জুন ২০২৫, ১৭:৩৯
কালিয়ায় খাশিয়াল-নড়াগাতী সড়ক সংস্কারে ধীরগতি, এলাকাবাসীর মানববন্ধন 
ছবি : যায়যায়দিন

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের খাশিয়াল বাজার থেকে নড়াগাতী পর্যন্ত সাত কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় আড়াই বছর আগে। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেই কাজ আজও শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক খুঁড়ে ফেলে রেখে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

এই দুরবস্থার প্রতিবাদে এবং দ্রুত সংস্কার কাজ শেষের দাবিতে আজ শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টায় খাশিয়াল বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা। খাশিয়াল ও পাশের জয়নগর ইউনিয়নের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন খাশিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ, খাশিয়াল আদর্শ সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য জাফর মোল্যা ও কাবির বিশ্বাস, উদীচী বড়দিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়, স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম শিমুল, সরদার আব্দুল করিম ও ওবায়দুর খন্দকার, তৈয়েবুর রহমান।

বক্তারা জানান, বড়দিয়া বাজার থেকে নড়াগাতী থানাগামী এই সড়কটি এলাকায় যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। বিশেষ করে খাশিয়াল থেকে নড়াগাতী পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার অংশ বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে কাজ বন্ধ করে দেওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যাওয়ার পর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। বৃষ্টির কারণে কাদায় পরিণত হওয়া রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে স্কুলশিক্ষার্থী, কৃষক, রোগীসহ হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ বলেন, “আড়াই বছরেও রাস্তার কাজ শেষ হলো না। পুরো রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা। কয়েকদিন আগেই দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন। প্রতিদিন ইজিবাইক ও ভ্যান উল্টে যাচ্ছে। আগের সরকার চলে গেলেও নতুন সরকারের কোনো নজর নেই। অবিলম্বে কাজ শেষ না হলে আমরা সওজ কার্যালয় ঘেরাও করব।”

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “২০২২ সালে ‘ইউনূস এন্ড ব্রাদার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছিল। তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ বন্ধ করে দিলে কার্যাদেশ বাতিল করে জরিমানা করা হয়। বর্তমানে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি, এক মাসের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যাবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর প্রতিশ্রুতি শুনলেও বাস্তবে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। দ্রুত কাজ শুরু না হলে বড় ধরনের আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে