বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সিঙ্গাতী গ্রামে কুরবানির ঈদের দিন (৭ জুন) আধিপত্য বিস্তার ও জমিজমা সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষের বেশ কয়েকজন গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপনে গেলে, সেই সুযোগে কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি ওই পক্ষের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। ঘটেছে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও। এতে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের পুরুষ সদস্যরা কেউ জেলহাজতে, কেউবা আত্মগোপনে। এই সুযোগে বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে, সবকিছু লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুল হক জানান, ‘ঘটনার দিন দুইজন নিহত হন এবং পরবর্তীতে রাতের আঁধারে কিছু সুবিধাবাদী বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেয়। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ২৭ জুন (শুক্রবার) সিঙ্গাতী গ্রামে এক শান্তি সমাবেশ করা হয়েছে।’
শান্তি সমাবেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ওসি ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা আশা করি, খুব দ্রুত উভয় পক্ষের লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরবে এবং গ্রামে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠু তদন্ত পরিচালনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।