ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হাজার হাজার ইমাম ভক্তের তাজিয়া মিছিল সহ নানা আয়োজনে মানিকগঞ্জে দৌলতপুর উপজেলায় পালিত হয়েছে পবিত্র আশুরা। সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ মাঠে কড়া নিরাপত্তায় ছিল ।
রবিবার (৬ জুলাই) ১০ই মহররম বিকেলে দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর ডিগ্রী কলেজ মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮/১০ টি শোক মিছিল এসে জড়ো হয় । এতে প্রায় ৮/১০ হাজার ইমাম ভক্ত কাসেদ হাতে লাল কালো নিশান ও তাজিয়া নিয়ে মিছিল বের করে। মিছিলটি গুলো ইচ্ছামত বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তালুকনগর ডিগ্রী কলেজ মাঠে জড়ো হয়।হাজারো কাশেদের মিছিলটি এক নজরে দেখতে মাঠে সড়কে দু'পাশে মানুষের উপচে পড়া ভিড় জমে।
তালুকনগর কলেজ মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শত শত ভক্ত আশেকান 'হায় হোসাইন' 'হায় হাসাইন' বিলাপে মর্সিয়া ক্রন্দন করে কারবালার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া ইমাম হোসাইন ও ইমাম হাসাইন এর মাজার প্রতিকী ও দুলদুল ঘোড়ার মতো একটি ঘোড়াকে সুসজ্জায় সজ্জিত করা হয় ।
এ সময় দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ আর আল মামুন, ওসি তদন্ত শেখ ফরিদ , জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: ফেরদৌস রহমান,সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।
দশ মহরম মুসলমানদের জন্য একটি মহিমান্বিত দিন। এই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল। আবার এই দিলেই পৃথিবী ধ্বংস হবে। এই দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আঃ:)কে সৃষ্টি করেছেন।এই দিনের রয়েছে ইসলামের ইতিহাসের ঐতিহাসিক নিদর্শন। আগামী দিনে সত্য প্রতিষ্ঠায় দিবসটি মুসলমানদের জন্য অনু করনীয়।
হিজরী ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার ফোরাম নদীর প্রান্তরে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হযরত হযরত ইমাম হোসাইন (রা) সহ পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন।
দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর, চক হরিচরণ, রামচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় আশুরা পালিত হয়।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ আর আল মামুন জানান, আশুরা উপলক্ষে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। এখনো কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে ।