রাজধানীসহ বাংলাদেশের বড় বড় শহরে প্রায় দেখা যায় ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী। একটি বড় কিংবা ছোট গাড়ীতে সাজানোর শত শত বই। গাড়ীটি চলতি পথে কোনো এক নির্জন স্থানে দাঁড়িয়ে। সামনে লিখা ইচ্ছে করলে আপনি পড়তে পারেন আপনার প্রিয় বইটি।

এভাবে সারাদেশের মানুষকে আলোকিত করার চেষ্টা করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। আর এসে সার্বিক সহযোগিতা করছে বিকাশ। কারণ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল্য উপদান হলো বই। আর সেই বই সরবরাহ করছে বিকাশ। ইতোমধ্যে হাজার হাজার বই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রেকে দিয়েছে বিকাশ। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া প্রতিযোগতিায়ও বিকাশ সহায়তা করে থাকে।

জানা যায়, এক দশকের ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯,৬৮০ টি বই হস্তান্তর করলো বিকাশ। শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ও উৎকর্ষের লক্ষ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্কুলে এই বইগুলো বিতরণ করা হয়। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর হাতে বইগুলো তুলে দেন বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.)।

শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে বিকাশ। এর আওতায়, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ লক্ষেরও বেশি বই দেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছে।

আরবের হারিয়ে যাওয়া রহস্যময় নগরী

উল্লেখ্য, বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই পড়াকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা আয়োজনে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতা করছে বিকাশ। এছাড়া, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০টি স্কুলে প্রতি বছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’ বিতরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করতে ২০১৯ সাল থেকে যশোরের বিশেষায়িত স্কুল প্রয়াস এর শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাদান খরচও বহন করে আসছে বিকাশ।

যাযাদি/ এস