ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসরুল ইসলাম বলেন, ফয়সালের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জে মামলা রয়েছে। ঢাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না দেখা হচ্ছে। তাকে মুন্সীগঞ্জের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের বড় ছেলে ফয়সাল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃনাল কান্তি দাসের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচনে জেতেন। এর আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার দুই বারের মেয়র ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পৌর মেয়রের পদ ছেড়েছিলেন ফয়সাল।
তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর গুলিতে ৩ জন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক আহত হন।
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় পৃথক ৩টি হত্যা মামলা ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়। সব মামলায়ই ফয়সালকে হুকুমের আসামি করা হয়।
এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রিয়াজুল ফরাজী নিহতের ঘটনায় ফয়সালসহ ৫০০ জনের নামে হত্যা মামলা হয়। মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী রুমা বেগম।