বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

মানি এক্সচেঞ্জের ৫ লাখ রিয়াল ছিনতাই, অর্ধেক উদ্ধার

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৩
মানি এক্সচেঞ্জের ৫ লাখ রিয়াল ছিনতাই, অর্ধেক উদ্ধার
প্রতীকি ছবি

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রাইভেট কারে অস্ত্র ঠেকিয়ে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ রিয়েল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিপরীতে এসেনসিয়াল ড্রাগ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। লুট হওয়া ৫ লাখ রিয়েল, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় কোটি টাকা। এদিন সন্ধ্যায় পল্টন অফিস থেকে একটি প্রাইভেট কারে করে ঐ রিয়াল উত্তরায় নেওয়া হচ্ছিল।

ঐ মানি এক্সচেঞ্জ অফিসের তুহিন নামে এক কর্মচারীর সহযোগিতায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ঐ সৌদি রিয়াল বহনে প্রাইভেট কারে থাকা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী তুহিনসহ ছয় জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছে থেকে ২ লাখ ৬৯ হাজার রিয়াল জব্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঠাণ্ডু মিয়া নামে এক ব্রোকারের মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসার সৌদি ৫ লাখ রিয়াল পল্টন অফিস থেকে নেওয়া হচ্ছিল উত্তরায়। পথিমধ্যে তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিপরীতে এসেনসিয়াল ড্রাগ অফিসের সামনে তিনটি মোটরসাইকেল করে আসা ব্যক্তিরা তার পথ আটকায়। অস্ত্রের মুখে ঐ প্রাইভেট কারটি জিম্মি করে। গাড়িতে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির তুহিন নামে এক কর্মচারী। এ ডাকাতির ঘটনায় লুট করা হয় ৫ লাখ রিয়েল। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, খবর পাওয়ার পর মানি এক্সচেঞ্জের মালিক ঠাণ্ডু মিয়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ যৌথভাবে অভিযানে নামে। তুহিনকে জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্রের মুখে জিম্মি নাটকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে রাতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তুহিনসহ মোট ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার রিয়াল।

এ ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে, পাশাপাশি জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতার ও লুটকৃত বাকি সৌদি রিয়াল উদ্ধারে যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার পর আটক ছয় জনেক গ্রেফতার দেখানো হবে। আটকদের ডিবি কার্যালয় হেফাজতে নিয়ে ডাকাতির ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে, তুহিনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, সেখানে তার কাছে কিছু লোক টাকা পাবে। ঐ সব লোকজনকে টাকা ফেরত দিতেই তুহিন এ কাজ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে