৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ‘প্রহসনমূলক’ মন্তব্য করে এর প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কারসহ ৪ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে তারা শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন এবং সড়কে বসে পড়েন। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচলে তীব্র বিঘ্ন ঘটে এবং শাহবাগ ও আশেপাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভে নানা স্লোগান দেন— ‘জুলাই আবার এসেছে, ছাত্রসমাজ আবার জেগেছে’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, পিএসসির সংস্কার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘নিশিরাতের ফলাফল, মানি না মানব না’।
চাকরিপ্রত্যাশীরা যে চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন, সেগুলো হলো— ১. ৪৪তম বিসিএসের ফল পুনর্মূল্যায়ন: চূড়ান্ত ফলাফল থেকে চয়েস লিস্টের নিচের ক্যাডারে সুপারিশ বাদ দিয়ে অধিযাচিত সব পদসহ পুনঃসুপারিশ করতে হবে এবং তা নতুন করে প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে পরবর্তী বিসিএসগুলোতেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখার দাবি জানান তারা।
২. নন-ক্যাডার বিধি সংশোধন: নন-ক্যাডার বিধি ২৩ বাতিল বা সংশোধন করতে হবে। ভাইভায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে চাকরির সুযোগ দিতে হবে।
৩. নম্বর প্রকাশ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ: প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক— তিন ধাপেই পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে। লিখিত খাতা পিএসসি অফিসে বসে মূল্যায়নের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ভাইভার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করার দাবি জানান চাকরিপ্রত্যাশীরা।
৪. যৌক্তিক প্রস্তুতির সময় প্রদান: স্পেশাল বিসিএসসহ সব নিয়োগ পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের উপযুক্ত প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত ও যৌক্তিক সময় দিতে হবে।
তাদের প্রধান দাবি, ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল অবিলম্বে পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন করে প্রকাশ করতে হবে।
অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন।