জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে, জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। বলা হচ্ছে- জুলাই ঘোষণাপত্রের নাকি কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি থাকবে না।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশে এনসিপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সবাইকে সেই জমায়েতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেই জমায়েতের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রাপ্ত আদায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে বুঝে নেব।
দিনাজপুরকে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, খাদ্যশস্যের জন্য দিনাজপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু আমরা দেখি যে কৃষক ধান উৎপাদন করে সেই কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পায় না। বেসরকারি সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দুর্নীতির কারণে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। যেই দিনাজপুর সারাদেশের মানুষকে খাওয়াতে সক্ষমতা রাখে, সেই দিনাজপুরের কৃষকরা তাদের নিজেদের ছাওয়ালকে (সন্তানকে) খাওয়াতে পারে না। দিনাজপুর উৎপাদন করবে আর ঢাকা ভোগ করবে-এই বৈষম্যের দেশ আমরা চাই না। আমরা চাই যেখানে উৎপাদন হবে, সেখানে সুষম বণ্টন হতে হবে। অর্থনৈতিক এবং আঞ্চলিক বৈষম্য আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে চাই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপি নেতা ডা. আব্দুল আহাদ, এনসিপি নেতা রফিকুল ইসলাম কনক, আব্দুল মুনীম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ গালিব, শ্রমিক উইং নেতা আকিব উদ্দিন ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা প্রমুখ।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, দিনাজপুরের সমন্বয়ক একরামুল হক আবিরসহ অন্যরা।
এর আগে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দান থেকে পদযাত্রা শুরু করে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা দিনাজপুর শহরের কাছারি মোড়, রেলওয়ে স্টেশন চত্বর, বাহাদুরবাজার, লিলিমোড়, জেলরোড সড়কে মিছিল ও গণসংযোগ করে দিনাজপুর ইনস্টিটিউটের সমাবেশ উপস্থিত হন। এ সময় এনসিপির দিনাজপুর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।