গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের চালানো এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছেন ডাক্তারস উইদাউট বর্ডারস (MSF)-এর এক কর্মী। বেঁচে ফিরেও ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে পারছেন না তিনি।
“পাঁচটি ট্রাক দাঁড় করানো হয়েছিল, মানুষ আসছিল ময়দা সংগ্রহ করতে। হঠাৎ করে চারপাশ থেকে গুলি আসতে শুরু করল। যার হাতেই ময়দার বস্তা ছিল, তাকেই মাথায় গুলি করা হচ্ছিল,”—বলেছেন ওই এমএসএফ কর্মী, যার নাম নিরাপত্তার কারণে প্রকাশ করা হয়নি।
‘ময়দার বস্তাগুলো ছিল রক্তে ভেজা’ তিনি জানান, ঘটনার সময় স্নাইপার, ট্যাংক ও ড্রোন দিয়ে চারদিক থেকে মানুষদের টার্গেট করা হচ্ছিল। “ময়দার বস্তাগুলো ছিল রক্তে ভেজা। অনেক লাশ পড়ে ছিল মাটিতে। আমরা এক বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে লুকিয়েছিলাম। তখন একটি ড্রোন এসে মাইক দিয়ে জানায়—‘হাতে কিছু নিতে পারবে না, লাশ বা আহত কাউকে তুলতে পারবে না। শুধু সামনে হাঁটো।’”
অনেকেই সেখানে রয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পরও ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। “তরুণ ছেলেরা এক বস্তা ময়দার জন্য মরছিল, কেউ কেউ তখনও জীবিত ছিল,” যোগ করেন ওই কর্মী।
জাবালগোজেস্কোয়া বলেন, “খাদ্যের জন্য মানুষের এই অসহায়তা বর্ণনার বাইরে। ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্য প্রবেশ সীমিত করছে, আর সামরিকীকৃত খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা অপমানজনক এবং প্রাণঘাতী।”
তিনি আরও বলেন, “১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা পদ্ধতিগত ও পরিকল্পিত ক্ষুধার্ত করে রাখার কৌশল গাজার মানুষকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই রক্তপাত, এই নির্যাতন—এখনই বন্ধ করতে হবে।”